ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে জমিসংক্রান্ত মারামারির জেরে একজন নিহত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের বরুণাগাওয়ে (পূর্ব বগুড়া পাড়া) মৃত শামসুল শেখের ছেলে হানিফ শেখের সাথে একই এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে আজিজুর রহমান ও বিলকুর সাথে ৬৭ শতক জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এই ঘটনায় হানিফ শেখ বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।মঙ্গলবার আদালতের ১৪৪ ধারার আদেশ নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে সাবধান করে আসে। এর পর ওই দিন সকাল ১১টার দিকে কতিপয় চার ব্যক্তি ঘটনার মীমাংসার অযুহাতে তাদের বাড়ি যায়।

কিছুক্ষণ পরেই সালন্দর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জনির নির্দেশে ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী রামদা, ছোরা, লাঠি নিয়ে উপস্থিত মহিলাদের উপর হামলা চালায়।এসময় পুরুষ মানুষরা এগিয়ে এলে তাদের উপরেও হামলা চালানো হয়।এসময় নিহত রাজু প্রামাণিকের ছেলে নুর মোহাম্মদের মাথায়, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ও অন্ডকোষে আঘাত করে। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। নুর মোহাম্মদের অবস্থার অবনতি হলে বুধবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নুর মোহাম্মদের মৃত্যু ঘটে।ঘটনার পর স্থানীয়রা অস্ত্রসহ সাদেকুল,আতাউর,জাহাঙ্গীর নামের তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।উক্ত সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার দরুণ মোঃ মজনু বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ৮ জনকে আসামী ও ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত পরিচয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সালন্দর ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম মুকুল আসামীরা যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান পুলিশ প্রশাসনের প্রতি।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আতিকুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে বলেন, আসামিরা যেখানেই থাক,তাদের আইনের আওতায় আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।

(এফআর/এসপি/নভেম্বর ১২, ২০২০)