শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : আজ ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন দিবস। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডর বাগেরহাটসহ উপকূলীয় জেলাগুলোর আছড়ে পড়ে। সিডর আঘাত হানার তেরতম দিবসে বাগেরহাটের শরণখোলাসহ ক্ষতিগ্রস্থ অনেক পরিবার এখনো রয়েছে গৃহহীন। জলোচ্ছাসের হাত থেকে রক্ষায় এখনো নির্মিত হয়নি টেকসই ভেড়ীবাধ ও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিআশ্রয় কেন্দ্র। সিডরে বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় এলাকা লন্ডভন্ড করে দেয়। 

শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের মারা যায় ১২ শত মানুষ। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস ও সতর্ক সংকেত আসলেই উপকুল জুড়ে এক ধরনে আতংক তাড়া করে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালীসহ বাগেরহাটের উপকূলবাসীকে। সুপার সাইক্লোন সিডরের কথা উঠলেই উপকূল জুড়ে আজও আতংকিতকরে সাধারণ মানুষদের। তাঁড়া করে বেড়ায় সেই দু:ষ্ময়ের স্মৃতি।

সিডরের ১৩ বছর পার হলেও পুনর্বাসনের জন্য কিছু গৃহ নির্মান করে দেয়া হলেও এখনো গৃহহীন রয়ে গেছে সাউথখালীর অনেক পরিবার। অনেক পরিবার অভিযোগ করে বলেছেন আশপাশের সবাই ঘর পেলেও তারা এখনো রয়েছেন গৃহহীন। এছড়া ১৩ বছরেরও শেষ হয়নি ওই এলাকার নির্মানাধীন টেকসই বেড়িবাঁধের কাজ।

জেলার উপকূলীয় এলাকাসহ শরণখোলায় নাই পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থা। দূর্যোগকালীন সময়ে কোনো কোনো গ্রামের মানুষদের দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয় আশ্রয় কেন্দ্রে। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে ওই এলাকার শতশত পরিবার। এলাকায় নাই পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা। এখানকার মানুষের দাবি প্রতিটি গ্রামে একটি করে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান করা। নদী শাসন করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের। শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের এখনো যারা গৃহহীন রয়েছে সরকারের কাছে তাদের দাবী গৃহ নির্মানের ব্যবস্থা করে দেয়ার।

(এসএকে/এসপি/নভেম্বর ১৫, ২০২০)