গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সহকর্মী বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে গার্মেন্টস কর্মী এক যুবতী। এ ঘটনায় ধর্ষিতা ওই যুবতী ৬ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ শনিবার অভিযান চালিয়ে ধর্ষিতার বান্ধবী আদুরী ও ঘটনার মুল হোতা ধর্ষক সোহেলকে গ্রেফতার করেছে। 

থানা সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের দিঘিরহাট (চক মানিকপুর) গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে আদুরী বেগম ও তার স্বামী জাইদুল ইসলাম গার্মেন্টেসে কাজ করার সুবাদে ঢাকার নারায়ণগঞ্জের একটি বাসায় ভাড়া থাকতো। একই বাসায় ভাড়া থাকতো বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাদশালা গ্রামের মৃত আজাহার ঘরামির মেয়ে গার্মেন্টস কর্মী ১৮ বছর বয়ষী ধর্ষিতা ওই মেয়েটি। দীর্ঘদিন এক বাসায় থাকার কারণে আদুরীর সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। গত ২৭ অক্টোবর আদুরী ও তার স্বামী জাইদুল ওই যুবতীকে নিয়ে বাবার বাড়ি গোবিন্দগঞ্জের গ্রামে বেড়াতে আসে।

এরই মধ্যে আদুরীর দূর সর্ম্পকের ভগ্নিপতি পাশ্ববর্তী পলাশবাড়ি উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভগবানপুর (বাসুদেবপুর) গ্রামের মৃত আব্দুল করিম মজনুর ছেলে সোহেল মিয়া (৪০) আদুরীর বাবার বাড়িেেত আসা- যাওয়ার সুবাদে সেখানে ওই যুবতীর সাথে সোহেলের পরিচয় হয়। এরই এক পর্যায়ে গত শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে সোহেল বেড়ানোর কথা বলে আদুরীর বাড়ি থেকে ওই যুবতীকে নিয়ে যায়। দিনভর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে রাতের কোন এক সময় কোমরপুর এলাকায় নিয়ে সোহেলসহ তার বখাটে বন্ধুরা মিলে ওই যুবতীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর রাত ১টার দিকে ওই যুবতীকে গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী বালুয়া বাজার এলাকায় বাংলা লিংক টাওয়ারের পাশে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন সেখানে অপরিচিত ওই যুবতীকে দেখে গোবিন্দগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ রাতেই ওই স্থান হতে ধর্ষিতা যুবতীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় এসে মেয়েটি ধর্ষণের ঘটনা পুলিশকে জানালে মেয়েটিকে নিয়ে পুলিশের একটি দল শুক্রবার রাত ও শনিবার দিনভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আদুরী ও সোহেলকে গ্রেফতার করে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) আফজাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতা ওই যুবতী ৬ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আদুরী ও সোহেলকে গ্রেফতার করে। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা ও জবানবন্দী শেষে তাকে রোববার তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার এজাহারভূক্ত অন্য আসামীদেরকে গ্রেফতারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।

(এসআরডি/এসপি/নভেম্বর ১৫, ২০২০)