নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামের এক গৃহবধূকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ মামলায় ৭ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালত-২ এ আসামীদের হাজির করা হয়। পরে বিচারক সুলতান মাহমুদ তাদেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলা সুত্র উল্লেখ করে লালপুরের ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ মোহন সরকার জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ এলাকার এক গৃহবধূ তার ছেলের বিয়ের জন্য লালপুরের ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে আসেন। পাত্রী দেখানোর কথা বলে কৌশলে তাকে ডেকে আনেন একই গ্রামের রাশেদুল ইসলাম।

পরে রাশেদুলের সহযোগিতায় রাতে ওয়ালিয়া গ্রামের আমজামতলা এলাকার নির্জনস্থানে পালাক্রমে ১৪জন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী চারজনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে খবর দেয়। পরে ওই গৃহবধূ বুধবার বিকেলে মোট সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও সাতজনকে অভিযুক্ত করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

কারাগারে প্রেরণকৃতরা হলেন, লালপুর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের মৃত আনার আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৬), ওয়ালিয়া সেন্টারপাড়া গ্রামের মৃত সফর সরদারের ছেলে আকমল সরদার (৪৫), ওয়ালিয়া আমিনপাড়া গ্রামের মৃত লালমিয়া সরকারের ছেলে রবিউল ইসলাম সরকার (৪৫), ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদ রশিদ সরকারের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪২), ওয়ালিয়া বাজার পাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের ছেলে জীবন ইসলাম (২৫), ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫) এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রামের মৃত তৌফিক ফকিরের ছেলে রায়হান ফকির (৩৮)।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, আটককৃতরা সবাই মাদকাসক্ত ব্যক্তি। তারা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সময় নারীদের নিয়ে এসে এলাকায় অপকর্ম চালায়। আশংকা করা হচ্ছে এটাও এমনই একটি ঘটনা।

(এডিকে/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০২০)