স্টাফ রিপোর্টার : পরিবেশবান্ধব বিবেচনায় প্রতিবছর ৩০টি কারখানাকে দেয়া হবে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’। মুজিববর্ষ থেকে এই পুরস্কার দেয়া শুরু হবে। এজন্য ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ডের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গঠিত বিভিন্ন খাতকে বিবেচনায় নেয়া হবে। কোন কোন খাতকে অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচন করা হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে প্রচার করা হবে। বিভিন্ন খাতে মোট ৩০টি অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে। কোন খাতে কয়টি অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে, তা প্রাথমিকভাবে মূল্যায়ন কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রস্তাব বা সুপারিশ মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটির কাছে পেশ করবে। কোর কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে।

একই খাতে পাঁচটির বেশি অ্যাওয়ার্ড দেয়া যাবে না।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানাগুলোকে অনুমোদিত মনোগ্রামখচিত একটি মেডেল, একটি ক্রেস্ট এবং একটি সনদপত্র ও এক লাখ করে টাকা দেয়া হবে। প্রতি বছর ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবসে এ পুরস্কার দেয়া হবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এ খাতে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শন অধিদফতরের সবগুলো নিবন্ধিত এবং হালনাগাদ নবায়ন করা কারখানা ও প্রতিষ্ঠানগুলোই কেবল অ্যাওয়ার্ডের জন্য বিবেচিত হবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, জমির ভৌগোলিক অবস্থান, পানি সাশ্রয়, প্রাকৃতিক শক্তির ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী, অভ্যন্তরীণ পরিবেশগত অবস্থা, আধুনিক উদ্ভাবিত যন্ত্রের ব্যবহার, এলাকাভিত্তিক প্রাধান্য ইত্যাদি পর্যালোচনা করে কারখানাটি পরিবেশবান্ধব ফ্যাক্টরি কি না তা নির্ধারণ করা হবে। কারখানা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন শিল্প খাতকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।

নীতিমালায় অ্যাওয়ার্ড প্রক্রিয়ার নির্ণয়কগুলোও উল্লেখ করা হয়েছে। মূল্যায়ন কমিটি এসব নির্ণয়ক বিবেচনা করে প্রতি বছর সেক্টরভিত্তিক ১০০ নম্বরের চেকলিস্ট প্রণয়ন করবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

পুরস্কার দিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিবকে (শ্রম) আহ্বায়ক করে এ সংক্রান্ত একটি মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, অন্যদিকে সচিবের নেতৃত্বে থাকবে একটি কোর কমিটি। চেকলিস্ট অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত ও পরিদর্শন রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে মূল্যায়ন কমিটি কোর কমিটির কাছে পুরস্কারের জন্য মনোনীত প্রতিষ্ঠানের নাম সুপারিশ করবে।

কোর কমিটি মূল্যায়ন কমিটির পাঠানো অগ্রাধিকার তালিকা থেকে নির্ধারিত সংখ্যক খাতের উপযুক্ত কারখানাগুলোর নাম অন্তর্ভুক্ত করে অ্যাওয়ার্ডের জন্য চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০২০)