নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া শহরের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভূল চিকিৎসার শিকার হয়ে এক শিশু মারা গেছে । ১১ মাস বয়সী শিশু মারিয়া উপজেলার লংকারচর গ্রামের বকুল শেখের মেয়ে।

স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শিশু মারিয়া দীর্ঘদিন ধরে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগছিল। অভিভাবকরা তাকে চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে লোহাগড়া শহরের ডাক্তার প্রবীর কুমার দে শ্যাম এর চেম্বার কাম ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। এসময় ডাক্তার প্রবীর কুমার দে শ্যাম ওই শিশু রোগীকে ইনজেকশন দেওয়ার জন্য লক্ষ্মীপাশা এলাকার মোর্শেদা ক্লিনিকে পাঠান। মোর্শেদা ক্লিনিকের একজন নার্স তড়িঘরি করে ওই শিশুকে একটি ইনজেকশন প্রয়োগ করেন বলে স্বজনদের অভিযোগ। এরপর বিকাল ৩ টার দিকে ওই শিশুর শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে মোর্শেদা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের পরামর্শে শিশুর অভিভাবকরা পুনরায় ডাক্তার প্রবীর কুমার দে শ্যামের চেম্বারে পাঠান।

এসময় ওই ডাক্তার শিশুটিকে চিকিৎসা না দিয়ে একটি ব্যবস্থাপত্র ধরিয়ে দেন। শিশুর শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অভিভাবকরা তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসার আগেই শিশুটি মারা গেছে।

চিকিৎসক প্রবীর কুমার দে শ্যাম শিশু মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছি। এরপর ওই শিশুর অভিভাবকরা কি করেছে আমি জানি না। এ ব্যাপারে মোর্শেদা ক্লিনিকের মালিক কাজী মুরাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

(আরএম/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০২০)