ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বকুয়া বটতলা দুলালপাড়া গ্রামে অসময়ে মাচায় তরমুজ চাষে সফলতা দেখিয়েছেন কৃষক গিয়াসউদ্দিন বাবু।

তিনি ২৫ শতক জমিতে ব্লাক বেরি জাতের এই তরমুজের চাষ করেন। অসময়ে উৎপাদন হওয়ায় এ তরমুজ বিক্রি করে ভাল দামও পাচ্ছেন তিনি। ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করে এ পর্যন্ত গিয়াসউদ্দিন বাবু ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করেছেন।

সফল এ কৃষককে উৎসাহ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে তার তরমুজের মাঠ পরিদর্শন করেছেন হরিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মারুফ হোসেন।

তরমুজ চাষী গিয়াসউদ্দিন বাবু জানান, অসময়ে চাহিদা থাকায় ক্রেতারা মাঠ থেকেই তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, ২৫ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করতে তার মোট খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। খরচের থেকে যে লাভ হয়েছে তাতে বেজায় খুশি তিনি। লাভের আশায় ২৫ শতক জমিতে আগষ্টের মাঝামাঝি সময়ে ব্লাক বেরি জাতের তরমুজের বীজ বপন করেন তিনি। অক্টোবরের মধ্যেই খাবার উপযোগী হয় এ তরমুজ। অসময়ে এই ব্লাক বেরি জাতের তরমুজ বিক্রি করে আরও লাভের আশা করছেন তিনি।

হরিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মারুফ হোসেন জানান, চাষি গিয়াসউদ্দিন বাবু আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্লাক বেরি জাতের তরমুজের বীজ বপন করেন। বীজ বপনের আগে জমিতে চাষ-মই এবং সার দিয়ে জমিটি ৪ ফুট চওড়া মাচা দেন এবং বেড ও ড্রেন তৈরি করেন। এরপর ৫ বাই ৩ ফুট পর পর বীজ বপন করে যত্ন সহকারে পরিচর্যা করতে থাকেন। পরবর্তীতে গাছ একটু বড় হয়ে উঠলে বাঁশের বাতা এবং সুতা দিয়ে মাচাও তৈরি করেন।

২ মাসের মাথায় তার ফল খাবার উপযোগী হয়ে যায়। অসময়ের এ তরমুজ খেতে বেশ মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় ভোক্তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হবে এ তরমুজ। মারুফ হোসেন আগাম জাতের তরমুজ চাষে এ উপজেলার অন্যান্য কৃষকদেরও আহ্বান জানান।

(এফ/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০২০)