নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর নিয়ামতপুরে ধর্ষণের মামলা না তুলে নেয়ায় এবং মীমাংসায় রাজী না হওয়ায় ধর্ষণের সহায়তাকারী ও তার পরিবারের সদস্যরা ধর্ষিতার মা-বাবাকে মারধর করেছে। এ বিষয়ে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নবেম্বর (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় ধর্ষিতার মা ধর্ষণের সহায়তাকারীর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ধর্ষণে সহায়তাকারী উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের চকদেওলিয়া গ্রামের মোস্তাক আলীর ছেলে রাসেল (২৫), ভাই হোসেন আলী (২২), বাবা মোস্তাক আলী (৬৫), মা মেহেনুর (৫২), হোসেন আলীর স্ত্রী সুরাইয়া (২২) সকলে মিলে তার পথরোধ করে গালিগালাজ শুরু করে মামলা তুলে নেয়া বা মিমাংসা করার হুমকি দেয়। তখন ধর্ষিতার মা মামলা তার নিজ গতিতেই চলবে বললে উল্লেখিত ব্যক্তিরা ধর্ষিতার মাকে লাঠি দ্বারা আঘাত করে এবং কিল ঘুষি দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। ধর্ষিতার মার আত্মচিৎকারে বাবা এগিয়ে আসলে ধর্ষণের সহায়তাকারী রাসেলের ভাই হোসেন আলী হত্যার উদ্দেশ্যে হাসুয়া দ্বারা মাথায় আঘাত করে। এতে সে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে ধর্ষিতার বাবা বলেন, আমার মেয়েকে রাসেলের সহযোগিতায় গত ২৭ এপ্রিল রাতে মান্দা উপজেলার চককেশব গ্রামের উমর আলীর ছেলে মতিউর রহমান (১৯) বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে। এতে আরো সহযোগিতা করে মান্দা উপজেলার বালূবাজার গ্রামের দেলুর ছেলে রকি (১৯), সুমন (২০), পিতা- অজ্ঞাত, শাহিন (১৯) পিতা অজ্ঞাত, নিয়ামতপুর উপজেলার চকদেওলিয়ার হেলাল (২৫)। গত ২৮ এপ্রিল ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে নিয়ামতপুর থানায় মামলা দায়ের করায় ধর্ষণকারী ও তার সহায়তাকারীরা বিভিন্ন সময়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিল।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, অভিযোগ এখনও দেখি নাই। দেখে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(বিএম/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০২০)