রাজবাড়ী প্রতিনিধি : আজ এক সপ্তাহ ধরে রাজবাড়ীর বাজার গুলো আলু শূণ্য হয়ে পরেছে। সরকারি বেধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি না করায় প্রশাসনের ভব্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বেশ কয়েকজন বসজি বিক্রেতা ও ব্যাবসায়ীকে জরিমানা করায় বর্তমানে ব্যাবসায়ীরা আলু আমদানি বন্ধ রেখেছেন। এতে রাজবাড়ীর বাজার গুলো একবারেই আলু শূণ্য হয়ে পেরেছে। বাজরের কোন বিক্রেতার কাছেই আলু বিক্রি করতে দেখা যায়নি। ক্রেতারাও আলু কিনতে এসে ফিরে গেছেন বাজারে আলু না থাকায়।

রাজবাড়ীর বড় বাজার সহ অন্যান্য বাজরেরও একই অবস্থা। নেই কোথাও আলু নামের বস্তটি। বাজারে ক্রেতারা অন্যান্য সবজি কিনতে পারলেও আলু না থাকায় তারা পরেছেন বিপাকে। বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে কোন ব্যাবসায়ী আলু বিক্রি না করায় গত কয়েকদিন বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে ব্যাবসায়ীদের আলু সরকারের বেধে দেওয়া দামে বিক্রি না করায় তাদের জরিমানা করায় তারা আলু বিক্রি করছেন না।

ক্রেতারা বলেন, তারা বাজারে অন্যান্য সবজির সাথে আলু কিনতে আসলেও কোন দোকানেই আলু না থাকায় তারা সমস্যায় পরেছেন। প্রয়োজন থাকলেও আলু না পাওয়ায় বিপাকে পরেছেন ক্রেতা সাধারন।

বিক্রেতারা বলেন, তাদের প্রতি কেজি আলু পাইকারি দরে কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকায়। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৫ টাকা সরকারি দরে বিক্রি করলে তাদের লোকসান হওয়ায় ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করার কারনে জরিমানা দিতে হচ্ছে। এ কারণে তারা আলু বিক্রি করছেননা। জরিমানার ভয়ে খুচরা ও পাইকারি কোন ব্যাবসায়ী আলু আমদানি করছেননা।

দিলসাদ বেগম জেলা প্রশাসক রাজবাড়ী তিনি বলেন, বাজারে কোন দোকানে আলু নেই এটা তিনি জানেনা। তিনি আজ বাজারে মনিটরিং টিম পাঠাবেন। তবে বিক্রেতারা আলু কম রেটে কিনে বেশি দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার কারনে তাদের জরিমানা করা হয়েছে।তারা আলু কত দামে কিনছেন এবং কত দামে বিক্রি করছেন জরিমানা করার ক্ষেত্রে সেটা দেখা হয়। যদি কোন ব্যাবসায়ী ক্রয়ের কাগজ পত্র না দেখাতে পারে সেক্ষেত্রে জরিমানা করা হয়। অকারণে বেশি দামে বিক্রি করলে ভোক্তাদের সার্থে এ জরিমানা করা হয় বলে জানান। তিনি আজ বাজারে মনিটরিং করে দেখবেন ।

(একেএ/এসপি/নভেম্বর ২১, ২০২০)