মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : সরকারি দায়িত্ব তোয়াক্কা না করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে  ঢাকা বসেই নিকাহ রেজিষ্ট্রারের (কাজী) কার্যক্রম চালাচ্ছেন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের কাজি মোঃ মতিন ফকির। এ ব্যাপারে অত্র ইউনিয়নের বাসিন্দারা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের বরাবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জেলা রেজিষ্ট্রার খন্দকার জামিলুর রহমান জানান,নিকাহ রেজিষ্ট্রারের কাজ নিজেই করতে হবে। ভাড়া করা লোক দিয়ে এ কাজ করা যাবে না। কাজী মতিন ফকির যদি নিজে নিকাহ রেজিষ্ট্রার না করে অন্যলোকের মাধ্যমে করায় তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগে জানা যায়, মতিন ফকির ২০০০ সালে ৭নং নায়েকপুর ইউনিয়নে কাজী হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি ঢাকায় মহাখালী পরিবার পরিজন নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ইউনিয়নে তিনি নিয়মিত আসেন না। বিবাহের কাজ থাকলে অন্যলোকের মাধ্যমে সম্পন্ন করান। এমনকি তালাকের কাজও অন্যলোকের মাধ্যমে করিয়ে থাকেন। এতে করে অত্র ইউনিয়নের লোকজন তার সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া জাল দলিল ও তার এলাকার পারিবারি কবরস্থানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটার টাকা পরিশোধ না করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ড্রেজার মালিক মোঃ সফিকুল ইসলাম গত ৫ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে বিচার চেয়ে দূর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার এমন অনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার সচেতন মহল উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

কাজীর শ্যালক আতাউর জানান, আমিই কাজী সাহেবের কাজ সমাধান করি। উনি নিয়মিত আসেন না। উনি মহাখালীতে ব্যবসা করেন। কাজীর কাজতো সব সময় করতে হয় না।

নিকাহ রেজিষ্ট্রার (কাজী) মোঃ মতিন ফকির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি ২০০০ সাল থেকে অধ্যাবধি এ ইউনিয়নে কাজ করছি। বিয়ে হলেই আমি এলাকায় আসি।

ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমান জানান, কাজী সাহেব এলাকায় থাকেন না। ঢাকায় বসে উনার প্রতিনিধির মাধ্যমে এলাকার কাজ করেন। এতে এলাকায় অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এ কাজীর নিয়োগ বাতিল করে নতুন কাজী নিয়োগ করার জন্য জোর সুপারিশ করছি।

(এম/এসপি/নভেম্বর ২৩, ২০২০)