আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দুর্বল। তিনি যুদ্ধ বাধাতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র চীনের সরকারি এক উপদেষ্টা। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।

শেনঝেনভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল অ্যান্ড কনটেমপোরারি চায়না স্টাডিজের’ ডিন ও দেশটির সরকারি ওই উপদেষ্টা ঝেং ইয়ংনিয়ান সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে এ আশঙ্কার কথা জানান।

গত ২২ নভেম্বর হংকংভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটিকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসলেই যে দুই দেশের (চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের) সম্পর্ক মূলস্রোতে ফিরবে; এই বিভ্রম কাটিয়ে ওঠা উচিত

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাবদল নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব যখন উৎসুক তখন শি জিনপিংয়ের সরকারকে এমন পরামর্শ দিয়ে ইয়ংনিয়ান বলেছেন, বাইডেনের আমলে মার্কিন-চীন সম্পর্কের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

গত আগস্টে ঝেং ইয়ংনিয়ানকে উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পালবাদল ও দুই দেশের সম্পর্কে তার কী প্রভাব পড়তে পারে; এ নিয়ে গুয়াংঝৌতে সম্প্রতি একটি আলোচনাসভায় যোগ দেন তিনি।

সেখানেও বাইডেন সম্পর্কে জিনপিং সরকারকে সতর্ক করে দেন ইয়ংনিয়ান বলেন, ‘পরিস্থিতি তো আর আগের মতো নেই। শীতলযুদ্ধের ঘোর এখনও কাটেনি তাদের। রাতারাতি হয়তো তা কাটবেও না। আমেরিকার সমাজ এখন দ্বিধাবিভক্ত। বাইডেন কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয় না আমার। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুর্বল তিনি।’

তার মতে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান করতে না পারলে তিনি কূটনৈতিক উপায়ে কিছু করবেন। অনেকে হয়তো বলবেন, ট্রাম্প গণতন্ত্র এবং বাকস্বাধীনতারবিরোধী। বাইডেন নন। কিন্তু আমার মতে, ট্রাম্প যুদ্ধে আগ্রহী নন। কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধ বাধিয়ে ফেলতে পারেন।’

উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে বাণিজ্য যুদ্ধ এবং সবশেষ করোনা মহামারি নিয়ে গত কয়েক বছরে এ রকম একাধিক বিষয় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ ছাড়া হংকংয়ে চীনের আধিপত্য বিস্তার এবং লাদাখ সীমান্তে চীনের সামরিক আগ্রাসন নিয়েও কঠোর চীনবিরোধী অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে চীনবিরোধী ৩০০ এর বেশি বিল উত্থাপন হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারণায় চীনবিরোধী বক্তব্য দিতে দেখা গেছে বাইডেনকেও। জিনপিংকে তিনি ‘গুণ্ডা’ বলে উল্লেখ করেন। তাই ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়লেও যুক্তরাষ্ট্রের চীননীতি বদলানো নিয়ে সন্দিহান কূটনৈতিক মহল।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২০২০)