টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেলা সদরের রাবেয়া বসরী মহিলা মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ব্যক্তিমালিকানার ভূমি দখল করে আবাসিক ভবন নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে। 

জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ধুল মৌজায় (জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবনের পাশে) গণপূর্ত অধিপ্তরের ০.৭০ একর সরকারি ভূমির উপর ১৯৯৩ সালে রাবেয়া বসরী মহিলা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালে ধুল মৌজার এসএ ৩৭ দাগে ০.২০ একর, ৩৬ দাগে ০.২৯ একর, ৮৭ দাগে ০.০৭ একর এবং ৯০ দাগে ০.০৬ একর ভূমি সরকার অধিগ্রহন করে। ওই সময়ে ধুল মৌজার এসএ রেকর্ডীয় ৩৭ দাগের ০.২৮ একর ভূমির মধ্যে ০.২০ একর ভূমি অধিগ্রহন করা হলেও বাকি ০.০৮ একর ভূমি স্থানীয় মৃত ইসমাইল সরকারের ছেলে হাছেন উদ্দিনের রয়ে যায়। চার ছেলে তিন মেয়ের মধ্যে মরহুম হাছেন উদিনের বড় ছেলে মাওলানা আব্দুল আজিজকে ওই ০.০৮ একর ভূমি রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই ০.০৮ একর ভূমি রাবেয়া বসরী মহিলা মাদ্রাসার সন্নিকটে হওয়ায় দখলের আশঙ্কায় অস্থায়ী ও অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে টাঙ্গাইলের যুগ্ম জেলা জজ(প্রথম) আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মাওলানা আব্দুল আজিজ অভিযোগ করেন, টাঙ্গাইলের যুগ্ম জেলা জজ(প্রথম) আদালতে মামলা চলমান থাকাবস্থায় বিবাদী পক্ষ নানা কারণ দেখিয়ে বার বার সময়ের প্রার্থণা করে কালক্ষেপন করছে এবং এরই মধ্যে ওই ০.০৮ একর ভূমির উপর রাবেয়া বসরী মহিলা মাদ্রাসা পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এতে তাদের পৈত্রিক ০.০৮ একর ভূমি রাবেয়া বসরী মহিলা মাদ্রাসা কর্তৃক জবরদখল হয়ে গেছে।

রাবেয়া বসরী মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ(মুহতামিম) ফজলুল করিম জানান, ধুল মৌজার ৩৭ দাগের ২৮ শতাংশ ভূমির মধ্যে ২০ শতাংশ অধিগ্রহন করা হয়েছে। বাকি ৮ শতাংশ মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশে উন্মুক্ত রয়েছে। রাবেয়া বসরী মহিলা মাদ্রাসা ব্যক্তি মালিকানাধীন কোন জায়গা জবরদখল করে নাই।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও রাবেয়া বসরী মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আতাউল গনি জানান, জেলা প্রশাসক হিসেবে তিনি মাদ্রাসার সভাপতি। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি অবগত নন। মাদ্রাসার মুহতামিম এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।

(আরকেপি/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০২০)