নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রামে তালাক দেওয়ার চারদিনের মাথায় শ্বশুর বাড়িতে হাজির হয়ে স্ত্রীর মুখে এসিড মেরে পালালো স্বামী। তবে পুলিশ ঘটনার মাত্র চার ঘণ্টা পর তালাকপ্রাপ্ত ওই স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর ছোড়া এসিডে আহত নার্গিস আক্তার নুপুর (২৮)কে গুরুতর অবস্থায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাত দশটার দিকে স্বামী আবু তালেব (৩৬)কে উপজেলার মৌখাড়া থেকে আটক করে। আবু তালেব উপজেলার আহমেদপুর এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে।

নুপুরের পিতা তায়েজ উদ্দিন জানান, সাত বছর আগে আবু তালেব জোর করে বিয়ে করে কলেজ ছাত্রী নুপুরকে। তালেব বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি থাকায় এবং একাধিক গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে আত্মগোপনে চলে গেলে গত বৃহস্পতিবার নুপুর তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি একই উপজেলার কমরদহ গ্রামে চলে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তালেব ওই বাড়িতে গিয়ে নুপুরের মুখে এসিড মেরে দ্রুত পালিয়ে যায়। নুপুরের চিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে তাকে বনপাড়া হেলথ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সংবাদ পেয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাৎক্ষণিক তালেবকে খুঁজতে পুলিশী ফোর্স মাঠে নামায়। পরে রাত ১০টার দিকে উপজেলার মৌখড়া থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
হেলথকেয়ার হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমানউল্লাহ আমানত জানান, বাজারে বিভিন্ন ধরনের এসিড পাওয়া যায়। যে এসিড ছোড়া হয়েছে তা চামড়ার খুব ক্ষতি না করলেও চোখ দুটো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আটককৃত তালেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

(এডিকে/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০২০)