শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরে স্কুল ছাত্রী কাজল আক্তার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ফাঁসির দাবীতে আজ শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। কুলকুড়ি সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যাপী এ কর্মসূচিতে জেলার ডামুড্যা পৌরসভার সর্বস্তরের জনগন অংশগ্রহন করেন।

এ সময় কাজল আক্তারের মা ভুলু বেগম, বাবা আলাউদ্দিন ছৈয়াল, বোন সুখি আক্তার, লাবনি আক্তার, ভাই আব্দুল্লাহ্ ছৈয়াল, ডামুড্যা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সামসুল আলম সবুজ মাদবর, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ ছৈয়াল, ব্যবসায়ী কবির হোসেন ছৈয়াল সহ সহস্রাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।

কাজল আক্তারের বোন সুখি আক্তার বলেন, আমার বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বাবু, জুয়েল, ফারুক ও তানভীর। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।

ডামুড্যা ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সামসুল আলম সবুজ ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ ছৈয়ালসহ অনেকেই বলেন, কাজল অনেক ভালো মেয়ে ছিল। মেয়েটিকে যারা ধর্ষণ পূর্বক হত্যা করেছে তাদের প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাববী করছি।

উল্লেখ্য, ডামুড্যা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কুলকুড়ি গ্রামের আলাউদ্দিন ছৈয়ালের মেয়ে ও ডামুড্যা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী কাজল গত ২১ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে প্রতিদিনের মতো পাশের ঘরে টিভি দেখতে যাওয়ার জন্য বের হয়। পরে আর ঘরে ফেরেনি। সারা রাত অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে পুলিশকে জানানো হলে পরের দিন ২২ অক্টোবর সকালে ওই গ্রামের একটি ডোবা থেকে হাত-পা ও মুখবাঁধা অবস্থায় কাজলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন ডামুড্যা থানায় চারজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন কাজলের বাবা আলাউদ্দিন ছৈয়াল। পরে ২৬ অক্টোবর পূর্বডামুড্যা এলাকা থেকে আসামী বাবু চৌকিদার (২৫), মো. জুয়েল খান (১৯) এবং ২৭ অক্টোবর মো. ফারুক সরদার (২৪) ও তানভীর শামীমকে (২২) গ্রেফতার করে ডামুড্যা থানা পুলিশ। পরে গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

ডামুড্যা থানার ওসি (তদন্ত) মো. এমারত হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ওই ঘটনায় চারজনকে আসামী করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

(কেএনআ্‌ই/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০২০)