নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সুবর্ণচরে এস্যানইনমেন্ট ফি আদায়,  উপবৃত্তির জন্য আবেদনকারিদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক টাকা আদায়, রেজিস্ট্রেশন কার্ডর সাক্ষরের নাম করে টাকা আদায়সহ নানা  অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ তুলে  নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি অভিবাবক ও শিক্ষার্থীরা।

লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানাযায়, সুবর্ণচর উপজেলার ১ নং চরজব্বার ইউনিয়নের কাঞ্চন বাজার সংলগ্ন অবস্থিত 'চরজব্বার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়'র প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন উপবৃত্তি থেকে নাম কেটে দেয়ার ভয় দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫শ টাকা আদায়, অস্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার নাম করে ৫শ টাকা করে আদায় এবং পরবর্তীতে রেজিস্ট্রেশন কার্ডে সাক্ষর বাবদ প্রত্যেকের কাছ থেকে আরো ৫শ টাকা আদায়, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে এস্যাইনমেন্ট ফি ৩৫৯ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করোনাকালে বন্ধ থাকলেও ১০ মাসের বেতন ও ফি আদায়সহ নানা অভিযোগ তুলে গত ১১ নভেম্বর ২০২০ তারিখে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগি শিক্ষার্থীও অভিবাবকগন।

জেলা প্রশাসক ঘটনাটি তদন্তের জন্য সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় প্রেরণ করেন। সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্তের জন্য দায়ীত্ব অর্পণ করেন সুবর্ণচর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল কবির এর ওপর। বর্তমানে তদন্ত চলমান বলে দাবী করেন, শহিদুল কবির।

শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করেন, বিগত দিনে এসএসসি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরনের জন্য ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ আদায় করেন, কেউ দিতে না পারলে তাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়ারও হুমকি প্রদর্শন করেন, একাধিক অভিবাবককে লাঞ্চিত করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক ইসমাইল হোসেন।

লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় বর্তমানে ঐ শিক্ষক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং স্কুল থেকে বের করে দেয়ার হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, নির্দেশনা পাওয়ার আগে কিছু ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে এস্যাইনমেন্ট ফি নেয়া হয়ে থাকতে পারে, তবে আমি এস্যাইনমেন্ট ফি নেয়ার ঘোষনা দিয়ে ছিলাম এটা আমার অন্যায় হয়েছে, নির্দেশনা পাওয়ার পর সেটা এখন বন্ধ আছে, বাকি অভিযোগ সঠিক নয়।

সুবর্ণচর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল কবির বলেন, যাদের কাছ থেকে এস্যানইনমেন্ট ফি নেয়া হয়েছে তাদেরকে পরবর্তী সেশনে বেতনের সাথে সমন্বয় করা হবে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলমান আছে, আমি শিগ্রই তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জমা দিবো।

এস্যাইনমেন্টের টাকা নেয়ার সত্যতা স্বিকার করে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম ইবনুল হাসান বলেন, এস্যাইনমেন্ট ফি যাদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে, তাদেরকে সেটা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে অথবা পরবর্তীতে সেটা সমন্বয় করা হবে। ছাত্রছাত্রীদের কে হুমকি দেয়া হলে কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(এস/এসপি/নভেম্বর ২৫, ২০২০)