রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সদরের দক্ষিন কামারবায়সা গ্রামে  মাপ জরিপের পর জমিতে প্রাচীর দিতে গেলে জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফের ছেলে রাসেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা চাচা, চাচী ও তিন চাচাত ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় মূল পাঁচ আসামীকে চার দিনেও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 

অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে গুরুতর জখম আহাদ আলী, ছেলে তোফাজ্জেলকে মঙ্গলবার সকালে ও মজনু ও তার মা সেলিনাকে বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কামারবায়সা গ্রামের বৃদ্ধ আহাদ আলী বলেন, তার ভাই সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিটি অ্যাড. আব্দুল লতিফের বাড়ি সংলগ্ন ভিটায় গত শুক্রবার জমি মাপ জরিপ শেষে উভয়পক্ষ সীমানা মেনে নেন। একপর্যায়ে আব্দুল লতিফ ওই জমিতে তাকে(আহাদ) প্রাচীর দেওয়ার অনুমতি দেন। সে অনুযায়ি তারা রোববার দুপুর ১২টার দিকে চিহ্নিত জায়গায় প্রাচীর নির্মাণ করার সময় ভাই লতিফের ছেলে রাসেলের নেতৃত্বে রমজান আলীর ছেলে আমির আলী, আদম আলীর ছেলে মঞ্জুরুল, মোমিন আলী, শফিকুলের ছেলে শরিফ হোসেন, উজ্জ্বল ও অহেদ আলীর ছেলে জিয়ারুল ইসলামসহ ১০/১২ জন হাতে রাম দা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে তাকেসহ পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। তিনিসহ স্ত্রী সেলিনা, ছেলে তোফাজ্জেল ও মঞ্জুকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা মারাত্মক অসুস্থ হলেও এক্সরে প্লেট জমা না নিয়েই তাকেও তোফাজ্জেলকে তড়িঘড়ি করে মঙ্গলবার সকালে ও অপরা দু’জনকে বুধবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভাই লতিফ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির এক নেতাকে ম্যানেজ করে তাদেরকে তড়িঘড়ি করে ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করিয়েছে।

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, তাদের উপর হামলার ঘটনায় ছেলে মোজাম্মেল বাদি হয়ে সোমবার রাসেলকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাসেল, আমের আলী, তার ছেলে রিপন,শরিফুল ও জিয়ারুল ব্যতীত ছয়জন আদালত থেকে জামিন নেয়। তবে মূল আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়ে পুলিশকে তাদের(আহাদ) বিরুদ্ধে আসামীদের বাড়িতে ঢিল ছোঁড়া, হুমকি ধামকি দেওয়াসহ বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে বিভান্ত্র করছে। বিষয়টি তদন্ত ওসি বুরহানউদ্দিনকে জানানো হয়েছে। গত চার দিনেও রাসেলসহ পাঁচজনকে পুলিশ ধরতে পারেনি।

জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক হাসানুজ্জামান বলেন, আসামীপক্ষের বাড়িতে ঢিল ছোঁড়ার সত্যতা যাঁচাই এর জন্য এক পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে।

(আরকে/এসপি/নভেম্বর ২৫, ২০২০)