সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কলেজ ছাত্র আবুল কালাম আজাদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় দুই নারী সহ সাত জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাতে নিহত কলেজ ছাত্রের ভাবি মমতা আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।  

উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া কিছুদিন আগে একটি সরকারি হালটে মাসকালাই বপন করেন। একই বাড়ির চাচাতো ভাই সিদ্দিক মিয়ার ছেলে হারেছ উদ্দিন আমন ধান মাড়াই করার জন্য গত শুক্রবার ২৭ নভেম্বর দুপুরে মাসকালাই ক্ষেতের উপর দিয়ে ধান মাড়াইয়ের মেশিন নিতে চাইলে বিল্লাল মিয়ার ছেলে শাকিল আহমেদ বাঁধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ সিদ্দিক মিয়ার লোকেরা শাকিলের উপর হামলা চালায়।

পরে শাকিলের আহত হওয়ার খবর পেয়ে বিল্লাল মিয়া ও তার ছোট ভাই কলেজ ছাত্র আবুল কালাম আজাদ এগিয়ে গেলে সিদ্দিক মিয়ার লোকেরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় শাকিল, বিল্লাল ও কলেজ ছাত্র আবুল কালাম আজাদ গুরুতর আহত হয়। শাকিল ও বিল্লালকে কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হলেও আবুল কালামকে আশংকা জনক অবস্থায় ওইদিনই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দিন রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত রোববার বিকাল ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল কালাম আজাদ হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। কালামের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামে দেখা দেয় উত্তেজনা। পরে কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ্ নেওয়াজ একদল পুলিশ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলে দেন।

এ ঘটনায় আবুল কালামের ভাবি বাদী হয়ে সিদ্দিক মিয়াকে প্রধান আসামী করে ২ নারী সহ ৭ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের এসআই আব্দুল আউয়াল জানান, মামলার তদন্ত ও আসামী গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।

(এসবি/এসপি/নভেম্বর ৩০, ২০২০)