স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্র আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যানটিনের সামনে অবস্থিত ‘মধুসূদন দে স্মৃতি ভাস্কর্য’-এর একটি কান বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে বুধবার (২ ডিসেম্বর) রাতে ভাস্কর্যের ভেঙে ফেলা অংশটি পুনঃস্থাপন করেছে প্রক্টরিয়াল টিম। তবে কে বা কারা, কখন ভাস্কর্যে আঘাত করেছে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।

মধুর ক্যান্টিনের স্বত্বাধিকারী মধুসূদন দে’র সন্তান অরুন কুমার দে বলেন, ভাঙার আগের রাতেও আমরা এটি ঠিকঠাক ভাবে দেখি। গতকাল সন্ধ্যায় আমরা ভাস্কর্যের একটি কান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকতে দেখি। প্রক্টরিয়াল টিমকে জানালে তারা সাথে সাথে বিচ্ছিন্ন হওয়া কানটি লাগিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা গতরাতে মধুদার ভাস্কর্যের একটি কান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকার খবর পাই। সাথে সাথে আমাদের প্রক্টরিয়াল টিম এটিকে মেরামত করে দিয়েছে মর্মে আমাদের কাছে জানিয়েছেন। আমরা সেটা বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়ে দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভাস্কর্যের আঘাতটি খেয়ালের বশে হয়েছে, নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে, তা এখনো জানা যায়নি। কারা, কী উদ্দেশ্যে কাজটি করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সেটা খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে।’

মধুর ক্যান্টিন ছাত্র রাজনীতির কেন্দ্র হওয়ায় এখানে প্রায় সময়ই বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। গত বছর একই জায়গায় একাধিকবার ককটেল বিস্ফোরণ হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি প্রশাসন এবং এখনো এই এলাকার নিরাপত্তার জন্য ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা লাগানো হয়নি। তবে প্রক্টর বলেন, আমরা জায়গাটি চিহ্নিত করেছি। খুব শীঘ্রই এটিকে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৩, ২০২০)