আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে তিন দিনের বৃষ্টির পর থেকে বইতে থাকা উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে আগৈলঝাড়ার জনপদে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। গত বছরের তুলনায় এবছর আগাম শীতের কারণে ছিন্নমুল পরিবারের লোকজন ও খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নিম্নবিত্ত পরিবার সদস্যরা শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে ভির করছেন গরম পোশাক কিনতে। এদিকে শীতের জন্য লেপ-তোষক বানাতে মহাব্যস্ত রয়েছেন শ্রমিকেরা। 

একদিকে করোনা অন্যদিকে জেঁকে বসা শীতের কারণে সন্ধ্যা নামলেই হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাটে লোক সমাগম কমে যাচ্ছে। জরুরী কাজ না থাকলে লোকজন রাস্তায় থাকছে না। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ি চলতি মাসে দুটি শৈত্য প্রবাহসহ আসছে মাঘ মাসের কনকনে শীত মোকাবেলার জন্য লেপ-তোষক বানানো ও শীতবস্ত্র কেনাকাটায় দোকানগুলোতে ভির করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারসহ খেটে খাওয়া শ্রমজীবিসহ ছিন্নমুল পরিবারের সদস্যরা।

গরম পোশাকের দোকানগুলোতে এখনই বেচা কেনার ধুম পরেছে। সুযোগে পোশাক বিক্রেতারাও একটু বেশী দামই হাকাচ্ছেন ক্রেতাদের কাছে। বিপনী বিতান, অভিজাত গার্মেন্টগুলোতে দাম হাকানোর কারণে নিম্ন আয়ের মানুষেরা তাদের পরিবার পরিজনের গরম কাপড়-চোপর কিনতে ভির করছেন শহরের প্রধান সড়কের পাশের ফুটপাতের দোকান গুলোতে। দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত ও বিভিন্ন হাট বাজারে পুরোনো শীতবস্ত্র বেচাকেনার বাজার বেশ জমে উঠেছে। বড় বড় দোকানের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে পুরানো কাপড় কিনতে পেরে খুশি মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও।

কনকনে শীতের কারণে লেপ-তোষক বিক্রিও বেড়েছে অনেক। উপজেলা সদর, গৈলা বাজার, ছয়গ্রাম, সাহেবেরহাট, রাজিহার বাজার, বাশাইল বাজার, পয়সারহাট বন্দর, বাটরা বাজার, বারপাইকা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, লেপ-তোষক তৈরিকারকদের ব্যস্ততা আগের তুলনায় অনেক বেশী।

গৈলা বাজারের ভাই ভাই বেডিং ষ্টোরের মালিক জালাল খলিফা জানান, বর্তমানে দু’জনের জন্য ব্যবহারের একটি লেপ বানাতে খরচ নেয়া হচ্ছে ৯০০ থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত। কারণ, তুলা ও কাপড়ের দাম বাড়ায় গত বছর ৯শ টাকায় যে লেপ বানানো হয়েছে এবার সেটা ১১শ টাকা খরচ পড়ছে। তবে কাপড় ও তুলার মান ও প্রকারভেদে এর দাম কম বেশী হচ্ছে।

(টিবি/এসপি/ডিসেম্বর ০৪, ২০২০)