আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে সবার আগে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং এর পর আনুমানিক দুই কোটি ফ্রন্টলাইন কর্মীকে ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, শুক্রবার সর্বদলীয় এক বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেছে সবার সামনে।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী বিজেপিদলীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে শুক্রবারের ওই সর্বদলীয় বৈঠকে দেখানো এক প্রেজেন্টেশনে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষাণ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) জানিয়েছে, ডাক্তার ও নার্সসহ সবার আগে দেশের প্রায় এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে মন্ত্রণালয়।

আর এর পর পুলিশ, সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য ও নগরকর্মীসহ অন্যান্য মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি ফ্রন্টলাইন কর্মীকে (সম্মুখ যোদ্ধা) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়ার সরকারি পরিকল্পনার বিষয়টি ওই বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে শুরু হওয়া বৈঠকে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভ ও নিম্নকক্ষ লোকসভার সব দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে।

পাঁচ কিংবা এর চেয়ে বেশি দলীয় এমপি রয়েছেন দেশটির এমন ১৩ দলের নেতারা ওই বৈঠকে অংশ নিয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে নিজেদের দলীয় অবস্থান তুলে ধরেছেন বলে সূত্রের বরাতে জানিয়েছে এনডিটিভি।

উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদ কংগ্রেসের পক্ষে বৈঠকে কথা বলেন। এ ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সুদ্বীপ বন্দোপাধ্যায়, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি থেকে শারদ পাওয়া টিআরএস থেকে নামা নাগেশ্বরা রাও এবং শিবশেনার পক্ষ থেকে বিনায়ক রাউত ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৪, ২০২০)