কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : রোগ আতংকে কলাপাড়ার হাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি কমে গেছে। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানকে প্রাইভেট পড়াতে পাঠাতে ও সাহস পাচ্ছেন না। ওই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জরুরী চিকিৎসা সহায়তা ও তাদের সুশ্রুসার জন্য মেডিকেল টিম পাঠানো হলেও অজ্ঞাত রোগে ছয় ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ্য হওয়ার ঘটনায় গোটা এলাকায় অভিভাবকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। বুধবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ভারপ্রাপ্ত) মো.হুমায়ুন কবীর স্কুল পরিদর্শন করে শিক্ষক ও উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলেছেন।

গত সোমবার ও মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ের ছয় ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তাদেরকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অবস্থার অবনতি ঘটলে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এরা হলো দশম শ্রেনীর লাবণী বৈদ্য, নিশি, সোহেল, জান্নাতী, মুন্নী ও ৬ষ্ঠ শ্রেনীর সুমি।
এদিকে বরিশালে চিকিৎসাধীন লাবনীর পিতা হৈবল বৈদ্ধ জানান, তাদের অবস্থার উন্নতি হয়নি। তারা এখনও আগের মতো যন্ত্রনায় ছটফট করছে। ডাক্তাররাও রোগের কারন বের করতে পারছে না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জালাল উদ্দিন জানান, অসুস্থ্য হওয়ার আতংকে আজ বিদ্যালয়ে ছাত্রÑছাত্রীরা অনেকেই আসেনি। যারা এসেছে তাদের আতংকিত না হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যবিভাগের লোকজন পরামর্শ দিয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.হুমায়ুন কবীর জানান, এ ঘটনায় আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষন করছে।
কলাপাড়া হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, এ রোগটির নাম মাসসাইকোজেনিক ইলনেস (এম ই আই)। এ রোগটি বয়স্কদের থেকে ছোটদের মধ্যে ছড়ায়। কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনা ও চিন্তা এবং ভয় পেলে এটি হতে পারে।
বিদ্যালয়ে অবস্থানরত মেডিকেল টিমের প্রধান স্বাস্থ্য পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন জানান, আজ কোন ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ্য হয়নি। তারা সার্বক্ষনিক বিষয়টি তদারকি করছেন।
নীলগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আ. মালেক খান জানান, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ্য হওয়ার সংবাদে গোটা এলাকার মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এ রোগ আতংক বিরাজ করছে।

কলাপাড়ায় একটি স্কুলের ছয় ছাত্র-ছাত্রী হাসপাতালে !


(এমকেআর/এএস/আগস্ট ২০, ২০১৪)