শরীয়তপুর প্রতিনিধি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা ও ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করায় "জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান" শিরোমানে প্রতিরোধ সভার আয়োজন করে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের আম্রকাননে শরীয়তপুর জেলা সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম এ প্রতিরোধ সভার আয়োজন করা হয়।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনদীপ ঘরাই এর সভাপতিত্বে এবং শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসানের সঞ্চালনায় প্রতিরোধ এ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান, পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান, সিভিল সার্জন এসএম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ, শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমারত হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা আনসার ভিডিপির কমান্ডার নাদিরা ইয়াসমিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এমদাদ হোসেন প্রমূখ। এসময় জেলার স্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই নন, স্বাধীনতা উত্তর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর প্রাজ্ঞ রাষ্ট্রনীতি ও কূটনৈতিক চিন্তা তাঁকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতার মর্যাদায় আসীন করেছেন। বঙ্গবন্ধু জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না।

তারা বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত করেছে এ আঘাত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের উপর নয়, এ আঘাত সমগ্র বাংলাদেশের উপর। এ আঘাত আমাদের মানচিত্র এবং স্বার্বভৌমত্বের উপর। যারা ভাস্কর্য ভেঙেছে এ প্রতিরোধ সভার মাধ্যমে তাদের ধিক্কার জানাই।

প্রতিরোধ সভা শেষে সরকারি কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সম্বলিত ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

(কেএন/এসপি/ডিসেম্বর ১২, ২০২০)