সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের নারায়ণপুর দাস পাড়ার নদীর পাশে কাপাসিয়া শ্রীপুর রাস্তার দেবে যাওয়া সেই রাস্তাটির সংস্কারের কাজ শরু করেছেন গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ । 

গতকাল শনিবার বিকাল থেকে রাস্তার কাজ শুরু করেন। ঘটনা ঘটার পর দেবে যাওয়া রাস্তা পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. আমানত হোসেন খান ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোসা. ইসমত আরা। পরে ওই দিন জেলা সড়ক জনপথ ও বিভাগকে জানানো হয়। এবং রাস্তার সংস্কার কাজটি জরুরী ভাবে সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। সে মোতাবেক সড়ক ও জনপথ বিভাগ জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার কাজটি শুরু করেন। পরে গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহম্মদ সাইফ উদ্দীন,উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী জামিল আকতার লিমন, উপসহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরর্দিশন করে সংস্কার কাজের অগ্রগতি দেখেন ।

গত শুক্রবার ভোরে কোন এক সময় রাস্তাটি দেবে যায়। রাস্তাটি পুরো ১৮ফিট দেবে গেছে। পুর্ব থেকে পশ্চিম পযর্ন্ত ২৬৫ফুট এবং নদী থেকে (উত্তর) থেকে (দক্ষিন)রাস্তা পযর্ন্ত ৩৮ ফুট জায়গা উচু নিচু ভাবে দেবে যায় নদীর পাড় ঘেষে। এর ফলে কাপাসিয়া শ্রীপুর রোডে সকল প্রকার যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে সংস্কার কাজ করা হয় কিন্তু সংস্কারের পর রাস্তাটি ঝুকিপূর্ন থাকায় ঠিকাদার কোম্পানী ওই রাস্তাটুকু পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছিল।

নারায়নপুর গ্রামের প্রবীণ শিক্ষক সন্তোষ দাস জানান, এবার নিয়ে ৫ বার এই জায়গাটিতে ধস নেমেছে। বিভিন্ন সময়ে বিশেষজ্ঞ দল এসে পরিক্ষা নিরীক্ষা করছেন কিন্ত কোন কারণ উৎঘাটন করতে পারে নাই। আমরা প্রতিনিয়িত ভয়ে এবং আতংকে থাকি কখন বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হই।

এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার মো. নজরুল ইসলাম জানান, এ নিয়ে ৫ বার একই জায়গাটি দেবে যায়। ১৯৬৪ সালে, এরপর ২০০০৩ সালে মার্চ মাসে ২০১৭ সালে,২০১৯ ও ২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে সর্ব শেষ রাস্তাটি দেবে যায়। ২০০৩ সাথে দেবে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ভ-তুত্ত বিভাগের একটি দল, বাংলাদেশ নদী গবেষনা কমিশনের একটি দল ও ভুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে এসেছিল। এবং পরিক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছিল কিন্তু ফলাফল জানা যায়নি। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার হওয়ায় এলাকাবাসী কাপাসিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান, কাপাসিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোসা. ইসমত আরা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

(এসকেডি/এসপি/ডিসেম্বর ১৩, ২০২০)