স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন লেখক সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।

তিনি বলেছেন, দেশে সরকার যেভাবে নীতিমালা করা শুরু করেছে, তাতে ভবিষ্যতে ড্রেসকোড মেনে সাংবাদিকদের হলুদ জামা এবং কলামিস্টদের হাফ প্যান্ট পরে রাস্তায় ঘুরতে হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন আয়োজিত ‘সম্প্রচার নীতিমালা, আইন ও সম্প্রচার কমিশন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আবুল মকসুদ এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘একের পর এক যেভাবে নীতিমালা হচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে দেখবেন আমরা সবাই শুধু মামলায় জড়িয়ে পড়ছি।’
আবুল মকসুদ বলেন, ‘নীতিমালা ছাড়াই আমাদের সম্প্রচার এ পর্যায়ে এসেছে। কোনোভাবেই বলা যাবে না তা খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। সরকার নীতিমালার মাধ্যমে এটি আরো ভাল করবে সেটি ভাববার অবকাশ নেই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনুষ্ঠান এবং নাটক অনেক ভাল মানের হলেও তা দেশের গণ্ডি পেরোতে পারে না। অথচ প্রতিবেশীদের সিরিয়াল আমাদের দেশের সংস্কৃতি দখল করে নিয়েছে।’
বৈঠকে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিভিন্ন মহল থেকে এ নীতিমালার সমালোচনা করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার এতে কর্ণপাত করছে না।
নিরপেক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে জাতীয় সম্প্রচার কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা সরকারের একটি রাজনৈতিক নীলনকশা। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সরকার বিএনপিকে কোণঠাসা, জামায়াতকে বিভিন্ন মামলায় কাবু ও জাতীয় পার্টিকে ভোঁতা করে রেখেছে।
তারা বলেন, বর্তমানে শুধুমাত্র গণমাধ্যমই সরকারের সমালোচনায় মুখর। আর এজন্য সরকার টিভি সংবাদ ও সমালোচকদের নিয়ন্ত্রণ করতে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা করেছে।
সুজন চেয়ারম্যান এম হাফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রহমান, অর্থনীতি প্রতিদিন সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান প্রমখ বক্তৃতা করেন।
(ওএস/এএস/আগস্ট ২১, ২০১৪)