স্টাফ রিপোর্টার : গত বছরের নভেম্বর মাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ ক্ষতি কাটিয়ে আবার উৎপাদনে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বল্প সুদে ঋণের প্রতিশ্রুতিতে একই সঙ্গে এ গ্রুপে কর্মরত ৫০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তার জীবনের অনিশ্চয়তাও কেটে যাচ্ছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, পুড়ে যাওয়া ফ্যাক্টরির ক্ষতির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত ১০ তলা বিল্ডিং-এর আয়তন প্রায় ৬.৫ লাখ বর্গফুট।

জানা গেছে, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের তৈরি পোশাক আমেরিকা, কানাডা, জাপান ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়। যার পরিমাণ বছরে ৩শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। ২০১২ সালে ৩২৫ মিলিয়ন এবং ২০১৩ সালে ৩৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গামের্ন্টস পণ্য রফতানি করেছে। এ বছর রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সঙ্গে ক্ষতি পুষিয়ে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ পোশাক রফতানি করে শীর্ষ স্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছে।

জানা গেছে, পুড়ে যাওয়া গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির অধিকাংশ শ্রমিকদের স্টান্ডার্ড গ্রুপের পাশের আরেকটি ইউনিটে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। এখন তারা আবার পুরনো ফ্যাক্টরিতে ফিরে এসেছে। তারা দুই শিফটে ফ্যাক্টরির কাজ করছে।

শ্রমিক হাজরা জানান, ‘আগুনের ঘটনার পর তারাই শুধু নয়, পুরো পরিবারের ওপর অনিশ্চয়তা নেমে আসে। কিন্তু এখন কাজ করতে পেরে মনে হচ্ছে জীবনের গতি ফিরে পাব।’

সরেজমিনে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ভবনের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে ভেসে আসছে মেশিনের শব্দ।

প্রসঙ্গ, ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর মধ্য রাতে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কারখানায় জোর করে ঢুকে যায় কয়েক হাজার শ্রমিক। পরে তারা কারখানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযাগ ঘটায়। এরপর প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় চালু করতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগ নেন।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ২০, ২০১৪)