স্টাফ রির্পোটার, গাজীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তুলা উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্রের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির সংবাদ সংগ্রহের সময় ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসান ও গাজী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।

রবিবার সকালে গাজীপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ক্লাবের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে রাজবাড়ি সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি ফজলুল হক মোড়লের সভাপতিত্বে ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক সংবাদের জেলা প্রতিনিধি মুকুল কুমার মল্লিক, একাত্তর টেলিভিশনের রিপোর্টার ইকবাল আহমদ সরকার, ইত্তেফাক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান, এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম মাসুম, দিনকালের স্টাফ রিপোর্টার দেলোয়ার হোসেন, দেশ রুপান্তরের আমিনুল ইসলাম, যুগান্তরের শাহ শামসুল হক রিপন, দৈনিক বাংলাভূমির সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজহার, ডিবিসি টেলিভিশনের মাহমুদা সিকদার, সাংবাদিক এম এ ফরিদ,দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার আবুল কাশেম, সাংবাদিক মাসুদ সরকার প্রমুখ।

এসময় বক্তারা অবিলম্বে দুই সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় মূল হোতা গাজী ফরহাদ হোসেনসহ দায়ীদের বিচার দাবি করেন। পরে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশ গ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

প্রসঙ্গত: গত মঙ্গলবার সকালে শ্রীপুর তুলা উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্রের রুনা পারভিন নামের উচ্চমান সহকারির নানা অনিয়ম ও অবৈধ কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে ওই কার্যালয়ে যান ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসান ও জিটিভির জেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এসময় ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সেখানকার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা গাজী ফরহাদ হোসেনকে তার বক্তব্য দেয়ার অনুরোধ করেন ও তার অফিসের অনার বোর্ডের ছবি নেন। এতে ওই কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের নানা অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে বের হয়ে যেতে বলেন। ওই দুই সাংবাদিক কক্ষের ভেতর থেকে বাইরে বের হয়ে গেলে ‘অনুমতি ছাড়া ছবি নেয়া হয়েছে কেন’ এমন প্রশ্ন তুলে ফের তাদের পেছনে তেড়ে আসেন ফরহাদ হোসেন। এসময় তার লোকজন ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা দুই সাংবাদিককে টেনে হিচড়ে কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে যান এবং তাদের দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০২০)