স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে হয়ে গেল ইংরেজি বছরের শেষ দিনকে বিদায় ও নতুন বর্ষ ২০২১ বরণের অনুষ্ঠান। ঢাকা বারের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান বেশ প্রাণবন্ত ছিল।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে ‘২০২১ সাল’ লেখা কেক কেটে নেচে-গেয়ে আনন্দ ও হৈ-হুল্লোড় করে এ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে সকলেই আনন্দ করেছেন।

আইনজীবীরা বলেন, সন্ধ্যার সূর্যাস্তের মধ্য দিয়ে আরেকটি খ্রিস্টীয় বছর ২০২০ বিদায় নিল। বছরটি পৃথিবীকে দিয়েছে মহামারির তাণ্ডব, মৃত্যুর মিছিল, কর্মহারা জীবন ও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এ পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন বছর নিয়ে মানুষ আশায় বুক বাঁধবে। করোনামুক্ত ঝলমলে একটি বিশ্ব গড়ার প্রত্যয় নিয়ে পথচলা শুরু করবে।

একজন বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘ফোটে যে ফুল আঁধার রাতে/ঝরে ধুলায় ভোর বেলাতে/আমায় তারা ডাকে সাথে- আয় রে আয়।/সজল করুণ নয়ন তোলো, দাও বিদায়...।’

সব বিদায়ের সঙ্গেই লুকিয়ে আছে আনন্দ-বেদনার কাব্য। ২০২০ বছর বিদায়ের ক্ষণেও সেই একই কথা বাজবে সবার অন্তরে। রাত ১২টা পেরোনোর পরই শুরু হলো নতুন খ্রিস্টীয় বছর ২০২১। আর ভোর বেলাতেই উদয় হয় নতুন বছরের নতুন সূর্য।

সেই নতুন বছরকে সামনে রেখে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাসলিমা আক্তার রিতার উদ্যোগে পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগতম জানিয়েছেন নারী আইনজীবীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ারা শাহজাহান, জেসমিন সুলতানা, জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপা, সালমা হাই টুনি ও নাসরিন সিদ্দিকা লীনাসহ অর্ধশতাধিক নারী আইনজীবী।

আমাদের জীবনের সব কর্মকাণ্ড ইংরেজি সালের গণনায় হয়, তাই খ্রিস্টীয় বছর বিশেষ গুরুত্ববাহী। সেই বিবেচনায় বিদায়ী বছরটা কেমন গেল তার হিসাব কষবেন সবাই। ভালো-মন্দ, আনন্দ-বেদনার স্মৃতিগুলো আরও একবার রোমন্থন করবেন। একইভাবে জীবনের সব ধরনের নেতিবাচক বিষয় দূরে ঠেলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় নতুন করে পথচলার প্রত্যয় ব্যক্ত করবেন।

২০২১ সালে পৃথিবী কেমন হবে তা এখনও সবার অজানা। তবে ২০২০-এর আলোকে সবার চোখ থাকবে করোনাভাইরাসের টিকার দিকে। এ টিকাকে ঘিরে বিশ্বে নানা প্রান্তে কী মেরুকরণ হয় তাতেও চোখ থাকবে বিশ্বের মানুষের। যত বাধাই আসুক তা অতিক্রম করে ২০২১ সালে পৃথিবীর মানুষ এগিয়ে যাবে। পৃথিবী হবে আরও সুন্দর ও শান্তিময়।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০১, ২০২১)