রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যয়ভার বহন করতে না পারার অজুহাতে ৪০ কেবির জেনারেটরটি চালু করার অভাবে গোডাউনে পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জেনারেটরটি পড়ে থাকলেও উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে লোডশেডিং হলেই পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে হাসপাতালে আসা রোগীদের।

শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, লোডশেডিংয়ের কারণে ভুতুরে পরিবেশ। নেই কোন আলোর ব্যবস্থা। রোগীদের নিজের উদ্যোগে মোবাইলে আলো জ্বালিয়ে বসে আছেন।

এসময় রোগীদের সাথে কথা বললে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ২বার লোডশেডিং হয়। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর এক ভুতুরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর নিজেদের উদ্যোগেই মোবাইল লাইট বা মোমবাতি হয় ভরসা। হাসপাতালে বড় বড় বিল্ডিং হলেও বাড়ছে না সেবার মান। সব হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও একটি মাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেখানে নেই জেনারেটর। কর্তৃপক্ষ নজর নেই। আমরা দ্রুত হাসপাতালটিতে জেনারেটরটি সচল করার দাবী জানাচ্ছি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সরকারীভাবে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের আড়াই লাখ জনবসতির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ৫০ শয্যা হাসপাতাল ১টি, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৪টি, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩টি ও কমিউনিটি ক্লিনিক ২৩ টি নির্মান করেছে। পূর্বে জনসংখ্যা অনুযায়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ১জন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ১ জন, মেডিকেল অফিসার ২ জন, কনসালট্যান্ট সার্জারী ১ জন, মেডিসিন ১ জন, গাইনী ১ জন, এনেসথেশিয়া ১ জন ও ডেন্টাল সার্জন ১ জনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১ জন করে মোট ১৬ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও বর্তমানে ৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত হলেও নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। যে কজন আছে তা দিয়েই চলছে উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা। ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় ৪০ কেবির জেনারেটরটি চালু করার অভাবে গোডাউনে পড়ে আছে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাফিন জব্বার ব্যয়ভার বহন করতে না পারার অজুহাতে ৪০ কেবির জেনারেটরটি চালু করার অভাবে গোডাউনে পড়ে রয়েছে বলে স্বীকার করেন।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ০২, ২০২১)