এম এ হিরা, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : ২ জানুয়ারি (শনিবার) গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. সুলতান নুর ইসলাম মুন্নুকে আহবায়ক ও সাবেক রাজবাড়ী জেলা কমিটির উপদেষ্টা মো. নাজিরুল ইসলাম তিতাসকে সদস্য সচিব করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সদ্য ঘোষিত গোয়ালন্দ উপজেলা কমিটি নিয়ে গোয়ালন্দ বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে মতভেদ রয়েছে।

দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলেছেন, কমিটিতে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীর নাম নেই। অনেকে আবার বলেছেন এই কমিটির বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। তবে অনেকেই আবার এ কমিটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন ত্যাগী ও দলের জন্য নিবেদিত লোকজন নিয়েই কমিটি গঠন করেছেন। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুরুল আলম দুলাল স্বাক্ষরিত কমিটিকে জেলা কমিটির আহবায়ক এ্যাড. লিয়াকত আলীর স্বাক্ষর না থাকায় কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক নেতাকর্মীরা।

তবে ১ জানুয়ারি কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মনজুরুল আলম দুলাল স্বাক্ষরিত ওই আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। সদ্য ঘোষিত কমিটির বিষয়ে জেলা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক এ্যাড. লিয়াকত আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন গত ২৪/১২/২০২০ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ পুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সামা ওবায়েদ ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জান সেলিম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় আমি ও ১নং যুগ্ন আহবায়ক এ্যাড. কামরুল আলমের স্বাক্ষর ব্যতিত কমিটির বৈধতা থাকার কথা নয়, আমার বুঝে আসেনা কি করে তাহারা কমিটি দেন।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মন্জুরুল আলম দুলাল বলেন, দলের এই ক্লান্ত লগ্নে অসাধু ব্যক্তিরা কমিটি বাণিজ্য করছে বলে সত্যতা পাওয়া গেছে। এর হাত হতে দলকে রক্ষা করার জন্য তৃনমূল ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছি। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোন লোক নেই, কমিটিতে বিএনপির নিবেদিত ব্যক্তিরাই আছেন। যারা মামলা, হয়রানির শিকার হয়েছেন তারাই আছেন কমিটিতে।

(এমএইচ/এসপি/জানুয়ারি ০৩, ২০২১)