নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জানিয়েছেন, আগামী চার বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৮ সালের আগেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাইকার সঙ্গে মিলে যে নকশা হয়েছিল তার কোনো কিছুতেই পরিবর্তন আনা হবে না। প্রতিবছর বাজেট বরাদ্দ থেকে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করা হবে।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মাওয়া অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ শেষ হয়েছে। এ বছরের জুন মাসে পদ্মা সেতুর ভিত নির্মাণ শুরু হবে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্র মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। এছাড়া জুলাই মাসে নদী শাসন এবং সেতুর তদারকি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ সংক্রান্ত দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

বিদেশী সাহায্য ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী প্রবাসীদের জানান, পদ্মা সেতুর নকশায়ও কোনো প্রকার পরিবর্তন হচ্ছে না। শুরু থেকে রেললাইন ও দোতলা সড়কসহ যেভাবে নকশা করা হয়েছিল ওই নকশা অনুযায়ী পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাইকার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তাদের সঙ্গে বসে যে নকশা করা হয়েছিল তাই থাকছে।

পদ্মা সেতুর অর্থায়ন কীভাবে হবে তার ব্যাখ্যা টেনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, আমাদের এখন দুই লাখ ১১ হাজার কোটি টাকার বাজেট। প্রতিবছর বাজেটে ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা পদ্মা সেতুর জন্য বরাদ্দ রাখা হলে কোনো সমস্যাই হবে না। এভাবে চার বছরে সেতুর ব্যয় বাবদ ২২ হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করা হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রথমে অর্থ ব্যয় এবং পরে বাজেট বরাদ্দ থেকে তা সমন্বয় করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

আলোচনা সভায় তীব্র ভাষায় বিএনপির সমালোচনা করে সরকারি দল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, বিএনপি বর্তমানে অস্তিত্বহীন একটি রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে দলটির কবর রচিত হয়েছে। অথচ নির্বাচনে অংশ নিলে বেশকিছু ভোট পেত।

জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে সার্বজনীন মুজিবনগর দিবস উদযাপন কমিটির ব্যানারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও বিপুলসংখ্যক প্রবাসী এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত সিলেট-৪ আসনের সাংসদ ইমরান আহমেদ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল, সাইফুল ইসলাম রহিম, জাপা নেতা হাজী আব্দুর রহমান প্রমুখ।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ২০, ২০১৪)