স্টাফ রিপোর্টার : আজ ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ফেলানী দিবস উপলক্ষ্যে নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে ফেলানী হত্যার বিচার, বারিধারায় পার্ক রোডের নাম ফেলানী সরণী করা, সীমান্ত আগ্রাসনের শিকার সকল পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দান, সীমান্ত হত্যা সার্বভৌমত্ব লংঘন বন্ধসহ সকল আধিপত্যবাদী আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে অনুষ্ঠিত কর্মসূচি শুরু করার প্রাক্কালে হঠাৎ পুলিশী বাধার সম্মুখিন হয়। পুলিশের পরিদর্শক আবুল বাশার ব্যানার ছুড়ে ফেলে এবং এস.আই কামালের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানস্থল প্রেসক্লাব এলাকা সংগঠিত সকল নেতাকর্মীদের বাধ্য করে।

নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার অনন্তপুর সীমান্তে নুরুল ইসলামের সামনে তাঁর নিষ্পাপ কুমারী মেয়ে ফেলানীকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে, হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের কোন বিচার হয়নি। বাংলাদেশ বিচার পায়নি। বিশ্ববাসী এখনো বিচারের প্রতিক্ষায়।

তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে বিচার আর ক্ষতিপূরণের জন্য ঘুরছে ফেলানীর পরিবার। মানবাধিকার ও সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত রিপোর্ট মতে ২০০০-২০২১ সাল পর্যন্ত বিএসএফ সীমান্তে ১৭০০’র অধিক বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। ২০২০ সালে সবচাইতে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশিকে হত্যা করে বিএসএফ। বারবার সার্বভৌমত্ব লংঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে সাধারণ নাগরিকদের হত্যা-নির্যাতন করে এবং তুলে নিয়ে যায় তারা। আমরা মনে করি ফেলানী হত্যার বিচার না হলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে না। আমরা, নাগরিক পরিষদ জাতিসংঘে স্মারকলিপি দিয়ে ৭ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী সীমান্ত হত্যা বিরোধী ফেলানী দিবস পালন করার আহ্বান জানিয়েছি। বাংলাদেশ সরকার সীমান্তহত্যা বিরোধী ৭ জানুয়ারী ফেলানী দিবস পালনে জাতিসংঘে প্রস্তাব আনার আহ্বান জানাই।

ফেলানী দিবসে আমরা দাবি করি,

 ৭ জানুয়ারী বাংলাদেশসহ সারবিশ্বে ফেলানী দিবস পালন করুন।
 ঢাকা কূটনৈতিক এলাকায় পার্ক রোডের নাম ফেলানী সরণী করতে হবে।
 ফেলানীর পরিবারও সীমান্ত আগ্রাসনের শিকার সকল পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
 ফেলানী হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের ফাঁসি দিতে হবে।
 সার্বভৌমত্বের লংঘন বন্ধ করতে হবে।
 কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তের নাম ফেলানী সীমান্ত নামকরণ করতে হবে।
 বাংলাদেশকে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
 সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের ঢাকা মহানগর সম্পাদক নুরুল ইসলাম বিপ্লব, নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব হিফজুর রহমান, নাগরিক পরিষদের ঢাকা মহানগরের নেতা আতিকুর রহমান, এয়াকুব শরীফ, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের সভাপতি ডা. মাসুদ হোসেন ও মহাসচিব মাসুম হোসেন, গণতান্ত্রিক জোটের চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম দেওয়ান সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

উপস্থিত সকলে ফেলানী দিবসের কর্মসূচিতে পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘে ৭ জানুয়ারি ফেলানী দিবস বিশ্বব্যাপী পালনের দাবি উত্থাপনের আহ্বান জানান।

(বিজ্ঞপ্তি/এসপি/জানুয়ারি ০৭, ২০২১)