মেহেরপুর প্রতিনিধি : পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় মেহেরপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। নোংরা পানিতে নেমে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার আবেদন করেও তা কোন কাজে আসেনি বলছেন শিক্ষকরা।

দেখে পুকুর বা জলাশয় মনে হলেও এটি গাংনী উপজেলার ষোলটাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ। কয়েক মাস আগেও মাঠটিতে দুরন্তপনায় মেতে উঠতো শিক্ষার্থীরা। বর্ষার শুরু থেকে দুই মাস ধরে বৃষ্টির পানি জমে হয়েছে হাঁটুপানি। নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এই নোংরা পানির মধ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রোগে আক্রাšত হয়েছে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী। পানি জমে থাকায় খেলা করা বন্ধ হয়ে গেছে তাই স্কুল ঘরেই বসে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। মাঠে পানি জমে থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কম হচ্ছে। শুধু শিক্ষার্থীরা নই এই গ্রামের প্রায় দুইশ পরিবারও হয়েছে জলাবদ্ধতার স্বীকার। দুইমাস ধরে সড়কে জমে আছে হাঁটু পানি।

ষোল টাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন জানান, কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয় মাঠে পানি জমে জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে লেখাপাড়ার বিঘ্ন ঘটায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শিক্ষা অফিস সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তুু তা কোন কাজেই আসছে না। তাছাড়া মাঠে পানি জমে থাকায় স্কুলের উপস্থিতির সংখ্যাও কমে গেছে।

বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক ইমরান হোসেন জানান, ছোট শিক্ষার্থীদের ঘরে আটকে রাখাও সম্ভব হয় না। সুযোগ পেলেই ছুটে যায় পানির মধ্যে এতে বিভিন্ন রোগে আক্রাšত হয়েছে বেশ কয়েকজন।
এ ব্যপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পানি জমে থাকায় লেখাপড়ার ব্যঘাত ঘটছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিস্কাসন ব্যবস্থা করে শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

(এনবি/জেএ/আগস্ট ২২, ২০১৪)