হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন আগামী ২৪ আগস্ট। নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। প্রার্থীদের পক্ষে তাদের আত্মীয় স্বজনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ প্রার্থী। তারা হলেন বুল্লা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. বাদশা মিয়া (আনারস), আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হাই কামাল (কাপ পিরিছ) ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের পুত্র মনিরুল আলম ওরপে জসিম উদ্দিন (তালা)। এর মধ্যে বিগত নির্বাচনে বাদশা মিয়া ও আব্দুল হাই কামাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আর প্রথমবারের মত লড়ছেন জসিম উদ্দিন। গত ২৩ মার্চ লাখাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে করাব ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় এ ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়।

এদিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ইউনিয়নের করাব গ্রাম থেকে আব্দুল হাই কামাল, মনতৈল গ্রাম থেকে জসিম উদ্দিন, সিংহগ্রাম থেকে বাদশা মিয়া গ্রামের পক্ষে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনিত হন। এজন্য প্রত্যেক প্রার্থীর পক্ষেই দলমত নির্বিশেষে গ্রামের লোকজন কাজ করে যাচ্ছেন। সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ করাব গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় এবারও গ্রামবাসী আব্দুল হাই কামালকে নির্বাচিত করে তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। মনতৈল গ্রাম থেকে ইতোপূর্বে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হওয়ায় এবার গ্রামবাসী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের পুত্র জসিম উদ্দিনকে নির্বাচিত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। অপরদিকে, পিছিয়ে নেই বাদশা মিয়াও। ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে এলাকায় জনপ্রিয়তা থাকায় তার পক্ষেও চলছে ব্যাপক প্রচারণা। ফলে সাধারণ ভোটারদের ধারণা, এবার নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হবে।

এই ইউনিয়নে ভোটার ১৩ হাজার ৩শ’ ৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ৭শ’ ২৯ ও মহিলা ভোটার ৬ হাজার ৬শ ৪১ জন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে ৯টি কেন্দ্রে ৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩৭টি বুথে ৩৭ জন সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ও ৭৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

(পিডি/জেএ/অাগস্ট ২২, ২০১৪)