শেরপুর প্রতিনিধি : উজান থেমে নেমে আসা পানিতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে ব্রহ্মপুত্র নদের জেগে ওঠা চরের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় লোকজন ঘরবাড়ী ফেলে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।

শুক্রবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার পানিবৃদ্ধি পেয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হাছানুজ্জামান জানিয়েছেন। এতে শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের কুলুরচর বেপারীপাড়া এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবারও ওই এলাকার ৮ টি ঘরের বসতভিটা নদীর গ্রাসে পরিণত হয়েছে। এতে গত তিন দিনে গ্রামটির প্রায় ৫৬ টি ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদ বেয়ে উজান থেকে ধেয়ে আসা বন্যার পানি আছড়ে পড়ছে কুলুরচর বেপারীপাড়া গ্রামে। এতে ওই এলাকায় নদীভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙ্গনের মুখে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ঘরবাড়ী সরাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্থানীয় বসিন্দারা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন ঠেকাতে এবং ভাঙ্গনের শিকার অসহায় মানুষগুলোর সাহায্যে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ের কেউ কোন সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। কুলুর চরের বাসিন্দা রমজান আলী জানান, আমার ২ টি ঘর, চাচী-জ্যাঠীদের আরও ৫ টি ঘর নদীতে চলে গেছে। আমি সেলুনে কাজ করি। আমাদের এই এলাকার প্রায় সবাই ফেরি করে জীবন চালায়। বন্যায় নদী ভাঙনে এই যে আমাদের ঘরবাড়ী হারইলো, সাহায্যতো দূরের কথা, কেউই আমগরে একবার দেখবারও আইলো না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যেভাবে নদী ভাঙছে, তাতে অবিলম্বে ভাঙ্গন ঠেকানোর উদ্যোগ না নিলে কলুরচর গ্রামটির প্রায় এক হাজার মানুষ নদের গর্ভে তাদের বসতভিটা হারাবে।

(আরকে/এটিআর/আগস্ট ২২, ২০১৪)