মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কুশপুতুল পোড়ানোর সংস্কৃতি বহু পুরনো। কিন্তু এ তো ছিল ডাঙার প্রতিবাদ। জলপথে প্রতিবাদের ভাষা কী হতে পারে? দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে পিনাক-৬ ডুবে বহু মানুষ হতাহত এবং এই ধারাবাহিক লঞ্চ ‍দুর্ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে মানুষ একটি নতুন ভাষা বের করে ফেলেছে।

শুক্রবার সকালে ‘ঐক্যবদ্ধ ‍বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের কুশপুতুল পদ্মায় ডুবিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

ধারাবাহিক প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটে এদিন নৌমন্ত্রীর কুশপুতুল ডোবানো হয়।

জানা যায়, শুক্রবার সকালে সংগঠনটির পক্ষ থেকে মাওয়া ফেরিঘাট থেকে একটি মিছিল লঞ্চঘাটের দিকে যায়। এসময় সংগঠনের কর্মীরা ছাড়াও আশেপাশের দোকানদার ও নৌ যাত্রীরাও মিছিলে যোগ দেয়।

পরে লঞ্চঘাটে একটি সংক্ষিপ্ত সভা শেষে উদ্ধারকাজে প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগে নৌমন্ত্রীর কুশপুতুল পদ্মায় ডোবানো হয়। এসময় উপস্থিত জনতা লঞ্চডুবির ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে।

ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের এই কর্মসূচিতে আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ন সদস্য সচিব এহসানুল আলম ও দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন।

(ওএস/অ/আগস্ট ২২, ২০১৪)