অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে পৌর এলাকায় বইছে নির্বাচনী আমেজ। শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় পুরোদমে ব্যস্ত প্রার্থীরা। এই নির্বাচনে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী থাকায় বিপাকে পড়েছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে একক প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে জয়ী হতে চায় বিএনপি।

এই নির্বাচনে প্রার্থী রয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত কাজী আশরাফুল আযম, বিএনপির মো: খলিলুর রহমান খলিল, জাতীয় পার্টির আবু জাফর ও আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মো: তৈয়বুর রহমান খান।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পুরোদমে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে আর বিএনপি প্রার্থী গণসংযোগ করছে নীরবে। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। তিনিও একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেওয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। তাছাড়া এক প্রাভাবশালী প্রার্থীর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের বিতাড়ন ও তাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। ওই সময় পুলিশসহ অন্তত ৮ জন আহত হন।

এ অবস্থায় গত সপ্তাহে জেলা আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় মো: তৈয়বুর রহমান খানকে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’র পক্ষে কাজ না করার জন্য বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে তৈয়বুর রহমান খান দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। এ ছাড়া সংগঠনের অনেকে সহ সাধারণ জনগণও আমার পক্ষে। তাই এ নির্বাচনে আমি প্রার্থী হয়েছি।’ পৌর এলাকায় চোখে পড়ার মতো কোন উন্নয়ন হয়নি। জনগনের ট্যক্সের টাকা তছরুপ করা হয়েছে। ভুয়া বিল ভাউচারে টাকা লোপাট করা হয়েছে। এ সব খবর ভোটাররা জানে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র কাজী আশরাফুল আজম জানান, আমি এই পৌরসভার পরপর দুইবার নির্বাচিত মেয়র। আমি এই পৌরসভার অনেক উন্নয়ন করেছি।যার ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও নৌকার প্রার্থী করেছেন।

বিএনপির নেতা–কর্মীরা জানান, প্রচারণায় হামলার ভয়ে সক্রিয় ভাবে অংশ নিতে পাচ্ছে না। তবুও দলীয় প্রার্থীর প্রচারণায় নীরবে অংশ নিচ্ছেন তাঁরা।

এ বিষয়ে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক মেয়র খলিলুর রহমান খলিল বলেন, এই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভোট দেওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এমন অবস্থা বজায় থাকলে ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক ভোটার উপস্থিত হবেন। কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, একযুগ ধরে বিএনপি নির্যাতিত। মামলা হামলায় আমরা বিপর্যস্ত। তারপরও ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছি।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ১৩, ২০২১)