বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচনে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রতিদন্দ্বি বিএনপিসহ দুই মেয়র প্রার্থী ও ৩২ কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট বর্জনের মধ্যদিয়ে এবারই প্রথম মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান। বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান পেয়েছেন ১২ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট বর্জনকারী দুই প্রতিদন্ধির মধ্যে বিএনপি’র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র জুলফিকার আলী পেয়েছেন মাত্র ৫৯২ ভোট এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোকছেদুর রহমান গামা পেয়েছেন মাত্র ৩৩ ভোট।

এছাড়া কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কবির হোসেন, শরিফুল ইসলাম, বাহাদুর মিয়া, শফিকুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, জি,এম আল-আমিন, হুমায়ূন হামিদ নাসির, সরোয়ার হোসেন ও মজনু গাজী এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে জাহানারা চানু, জোহরা বেগম ও শিউলি আকন বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচনের রিটাংনিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরাজী বেনজির আহমেদ ভোট গনণা শেষে রাতে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মোংলা পোর্ট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান এবিজয়কে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বের বিজয় অবোহিত করে বলেন, মোংলা পৌর্ট পৌরসভা সৃষ্টির পর এই প্রথম আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এজন্য তিনি খুলনা সিটি মেয়র সাবেক প্রতিমন্ত্রী তালুকদার আব্দুল খালেক, পরিবেশ, স্থানীয় এমপি বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তালুকদারসহ জেলা ও মোংলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক তৎপরতার ফসল হিবেবে দাবী করেন। ভোট বর্জন করা বিএনপি মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি আরও বলেন, সব কেন্দ্রেই সুষ্ঠভাবে উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিএনপিসহ অন্যরা ভোট বর্জনের নাটক করে আওয়ামী লীগের এই বিজয়কে ছোট করতে চাচ্ছে।

অন্যদিকে, মোংলা পোর্ট বর্তমান মেয়র ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী জুলফিকার আলী এনির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখান করে বলেন, সকালে ভোট শুরু হলে সবকটি কেন্দ্র থেকেই মারপিট করে আমার ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরদের এজন্টদের বের করে দিয়ে সব কেন্দ্র দখল করে নেয় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিষ্ট্রে থাকার কথা থাকলেও কেন্দ্রগুলোতে আমি কোন ম্যাজিস্ট্রেট খুজে পাইনি। রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে বিএনপির ভোটারদের মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। নির্বাচনের আগের রাতে ভাংচুর করা হয় এিনপির নেতাকর্মীদের বাড়ীঘর, লাঞ্ছিত করা হয় মা-বোনদের। নির্বাচনের রিটাংনিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসন জানিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি। ভোটের নূনতম কোন পরিবেশ না থাকায় আমি বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ২ জন মেয়র প্রার্থী ২৩ জন কাউন্সিলর ও ৯ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জন করেছি। নবর্িাচন কমিশন ও সরকার নির্বাচনের নামে তামাশা করেছে।

(এসএকে/এসপি/জানুয়ারি ১৬, ২০২১)