নোয়াখালি প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় গণপিটুনিতে দুই ডাকাত নিহত হয়েছেন। এসময় আটক করা হয়েছে আরো পাঁচ ডাকাতকে।

শুক্রবার শেষ রাত ৩টার দিকে উপজেলার ৩ নম্বর ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চিরিঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নারীসহ ১৫-১৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মো. হারুনসহ ৩-৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দু’টি এসএমজি, ৭ রাউন্ড গুলি ও একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

নিহতদের মধ্যে একজনের নাম জানা গেছে। তিনি হলেন- আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য একই ইউনিয়নের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের তোকন সারেং বাড়ির আবদুর রফ সারেং-এর ছেলে মো. আজাদ মিয়া (৩৮)।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

৩ নম্বর ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন দফাদার রফিক উল্যাহ জানান, শুক্রবার রাত ১টার দিকে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হজ্জযাত্রী এনায়েত ব্যাপারির বাড়িতে ১০-১২ জনের একদল ডাকাত প্রবেশ করে।

এসময় বাড়ির লোকজন তাদের বাধা দিলে ডাকাতরা এনায়েত ব্যাপারি, তার ছেলে ও বাড়ির নারীসহ ১০-১২ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে ডাকাতরা টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী টের পেয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করে।

এলাকাবাসী ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চিরিঙ্গা এলাকায় ডাকাতদের ঘেরাও করে ফেললে ডাকাতরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

পরে এলাকাবাসী তাদের গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই আজাদসহ দুই ডাকাত নিহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহত ডাকাতদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। শনিবার ভোরে এলাকাবাসী আরো পাঁচ ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।

পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

কবিরহাট থানা ওসি মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

(ওএস/এইচআর/আগস্ট ২৩, ২০১৪)