রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : রায়পুর শহরের বেশ কয়েকটি স্পটে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা হচ্ছে। এই মাদক বেচাকেনায় এলাকার তরুণেরা জড়িয়ে পড়ছে। এতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।

শহরের মধ্যে খেজুরতলা, সাবেক কমিশনার নুরু খাঁ বাড়ীর আশপাশ এলকা, টিসি রোড, শ্রমিক বিড়ি ফ্যাক্টরী সংলগ্ন এলাকা, মহিলা কলেজ , বাঁশরী সিনেমা হল এলাকা, মুচি পট্টি, পৌর ভবন সংলগ্ন এলাকা, মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ আলম সড়কের মাথা, সরকারী কলেজ সংলগ্ন এলাকা, পীর ফজলুল্লা সড়কের এসপি সার্কেল অফিসের পেছনের বিল, বাসস্ট্রান্ড এলাকা, বকসী বাড়ীর দিকে যেতে কাঞ্চনপুর রোড, ফিস হ্যাচারীর সামনে, মধুপুরের কসাই পট্টি মাদকের অন্যতম স্পট।

এসব এলাকায় প্রায়ই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ অভিযান চালাচ্ছে। এতে মাদকদ্রব্যসহ মাদকসেবী, মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে বিভিন্ন সময়। এরপরও থামছে না মাদক চোরাচালান।

এসব স্পটে গাঁজা, ফেনসিডিল, মদ, ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে। তবে বহন সুবিধাজনক হওয়ায় ইয়াবার বেচাকেনা সবচেয়ে বেশি। পৌর শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে নীরবে ইয়াবার বেচাকেনা চলছে। যার বড় অংশের ক্রেতা তরুণেরা।

ডাকাতীয়া নদী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃকিত ব্যক্তিত্ব শংকর মজুমদার বলেন, ‘নীরব বাণিজ্যের’ কারণে সুস্থ সামাজিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মাদকের বিস্তারে সামাজিক সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। পুলিশের কর্মকর্তারা নতুন এলেই কমে যায় মাদকের বিতিকিনি কিন্তু কদিন না যেতেই মাদকসেবী, বিক্রেতাদের আনাগোনায় ভদ্র মানুষের চলাচল দায় হয়ে পড়ে।

মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ ঘোষণা করেছেন জানিয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেন, শহরে মাদক বেচাকেনার বেশকিছু স্পট পুলিশ চিহ্নিত করেছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, পুরাতন মাদক কারবারিরা কারাগার থেকে বেরিয়ে আবার মাদকে জড়িয়ে পড়ছে। তবে প্রতিনিয়ত মাদকবিরোধী অভিযানে তা এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তিনি মাদক সেবন ও বিক্রয় রোধে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’ জানিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার স্পিনা রানী প্রমানিক বলেন, খবর পাওয়ামাত্র মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান চলছে।

(পিকেআর/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২১)