মৌলভীবাজারে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দেয়ার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার : চার দফা দাবি নিয়ে সারা দেশের মত মৌলভীবাজারে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এর নেতাদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সকালের দিকে শহরের ব্যস্ততম চৌমুহনা এলাকায় পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালে এ ঘটনাটি ঘটে।
এর আগে, সকাল ১০ টার দিকে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য একত্রিত হয়। পরে নানা শ্লোগান নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের চৌমুহনায় গিয়ে অবস্থান নেয়।
সেখানেও তারা বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদী শ্লোগান দিতে থাকে। কর্মসূচি চলাকালে একপর্যায়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমসহ ছাত্রলীগ কর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মারপিট করে তাড়িয়ে দেন। এসময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহতও হয়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, আমাদের দাবি আদায়ের জন্য। আমরা চৌমুহন চত্বরে অবস্থা নেই। হটাৎ করে বহিরাগত কয়েকজন অতর্কিত হামলা করে। আমাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। তারা আমাদের বেশ কয়েকজনকে মারধর করে। আমাদের জুবায়ের আহমদসহ দুইজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো: ১। যে কোনো মূল্যে সেশনজট আটকাতে হবে।
২। ২য়, ৪র্থ ও ৬ষ্ঠ পর্বের তাত্ত্বিক বিষয়গুলোতে প্রমোশন দিয়ে প্র্যাক্টিক্যালগুলো পরবর্তী সেমিস্টারের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
৩। ১ম, ৩য়, ৫ম ও ৭ম পর্বের শর্ট সিলেবাসের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে দ্রুত পরীক্ষা নিতে হবে।
৪। ডুয়েটসহ সকল প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা ছাত্রছাত্রীদের জন্য আসন বরাদ্দ করতে হবে।
৫। আমাদের দাবিগুলােকে অযৌক্তিক উসকানিমূলক বলায় কারিগরি শিক্ষা সচিব - কে প্রেস ব্রিফিং এ এসে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার ভুল স্বীকার করতে হবে ।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন বলেন, রাস্তা আটকিয়ে কিছু শিক্ষার্থী জনদূর্ভোগ তৈরী করছিল। আমি তাদের বলেছি তোমাদের দাবির সাথে একমত। তোমরা রাস্তা আটকিয়ে সাধারণ মানুষকে দূর্ভোগে ফেলো না। পরে তারা সেখান থেকে চলে যায়।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বলেন, মারামারি, হাসপাতালে ভর্তি,হাতাহাতি বা ব্যনার ছিনিয়ে নেয়া এরকম কোনো ঘটনা শুনিনি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
(একে/এসপি/জানুয়ারি ১৯, ২০২১)