অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ভাঙ্গাচােরা রাস্তা ও অবৈধ নছিমন করিমন চলাচলের ফলে ঝিনাইদহের সড়ক মহাড়ক মৃত্যুফাঁদে পরণিত হচ্ছে। নতুন বছরে জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১১ জন। এরমধ্যে গত এক সপ্তায় নিহত হয়েছেন ৯ জন। 

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারী ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের মদনডাঙ্গা নামক স্থানে রাস্তা খারাপের কারণে সদর উপজেলার কলমনখালী গ্রামের কওছার মন্ডলের ছেলে কছিমুদ্দিন, সুরাট ইউনিয়নের হামদহডাঙ্গা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মানিক ও ইশারত জোয়ারদারের ছেলেসহ ৬ জন নির্মান শ্রমিক নিহত হন। এ সময় আহত হন আরো ৫ জন। দুর্ঘটনার কারণ ছিল রাস্তায় বড় বড় গর্ত।

এদিকে গত সোমবার হরিণাকণ্ডু উপজেলার তেলটুপি সড়কে ইঞ্জিনচালিত বিশ্বাস ব্রিক্স এর ইটভাটার মাটি টানা লাটাহাম্বার গাড়ির ধাক্কায় রবিউল ইসলাম (৫৬) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। তিনি তৈলটুপি গ্রামের হাতেম আলী বিশ্বাসের ছেলে। রবিউল রাস্তার ওপর ওঠার সময় ঝাউদিয়া এলাকা থেকে বিশ্বাস ব্রিকসের একটি মাটিবোঝাই লাটাহাম্বা গাড়ি তাকে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। একই দিন ঝিনাইদহ চুয়াাডাঙ্গা সড়কের আনসার ক্যাম্পের সামনে ট্রাকচাপায় নিহত হন দিপালী রানা (৪৫) ওরফে ফাতেমা আক্তার নামে এক হোটেল কর্মচারী।

সোমবার রাত দশটার দিকে পিছন দিক থেকে একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার সাদিপুর গ্রামের ট্রাকচালক স্বপন কুমার দাসের প্রথম স্ত্রী। তিনি দুই মেয়েসহ মুসলমান হয়ে মুসলিম ছেলের সঙ্গে বিয়ে করেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বল্টুর মোড় নামক স্থানে মোটরসাইকেল ও পাখি ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নয়ন লস্কার (২১) নিহত হন। পেশায় মহুরি নিহত নয়ন লস্কর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের মোঃ খায়রুল লস্করের ছেলে।

পুলিশ জানায়, পাখি ভ্যানের সাথে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক রাস্তার উপর পড়ে যায়। এ সময় তার শরীরের উপর দিয়ে আরেকটি আলমসাধু উঠে যায়। এতে তিনি মারা যান। নিহত নয়ন লস্কর ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা আদালতের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইশারত হোসেন খোকনের মহুরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ২০, ২০২১)