লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : রামগতি পৌরসভার ১,২,৩নং ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড হিসাবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন বর্তমান মহিলা কাউন্সিলর গীতা রানী দাস। সে মোতাবেক  সর্বপ্রথম নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলি শতভাগ নিশ্চয়তার প্রতি তার ছিল তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, মানুষের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন সবসময়। জনগণ যদি পাঁচ বছরের জন্য আবারো আগামী দিনে নির্বাচিত করেন, তাহলে অসম্পন্ন কাজগুলো সম্পন্ন করে ১,২,৩ নং ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড হিসাবে ঘোষনা করতে পারবেন বলে জানান বর্তমান কাউন্সিলর গীতা রানী দাস। তিনি বলেন, জনগণ পুনরায় সুযোগ দিলে আমি আমার মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে পূর্বের মত করে সেবার কাজে নিয়োজিত থাকব।

তিনি গত পাঁচ বছরে তার নির্বাচিত ওয়ার্ডের প্রায় নারীদের বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা,মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, জেলে কার্ড পাওয়ার উপযুক্তদের দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি। সালিশ বা বাড়ি নির্মান অনুমোদনের জন্য কোন টাকা নিতেন না। সকল রাজনৈতিক দলের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ন সম্পর্কের মাধ্যমে ওয়ার্ডকে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ থেকে মুক্ত রাখেন। করোনাকালীন সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে মানুষকে আর্থিক ও মানষিক সহায়তা করেন। প্রতিটি উৎসব পার্বণে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অসচ্ছল মানুষকে সহায়তা করেন।মন্দির মসজিদ উন্নয়ন, খেলাধুলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখেন।

এছাড়া কাউন্সিলর গীতা রাণী দাস বাল্যবিবাহ রোধ ও মেয়েদের শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক ভুমিকা রাখায় রামগতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেগম রোকেয়া দিবসে জয়িতা পুরস্কার লাভ করেন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে গীতা রানী জানান, পুনরায় নির্বাচিত হলে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার পাশাপাশি জনগণের সেবক হয়ে সমাজের অবহেলিত নারীদের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা, এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে চান।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ২০, ২০২১)