রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : শুক্রবার কুড়িগ্রামের রাজারহাট সদর বাজারে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে। 

জানা যায়, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিষয়ে কুড়িগ্রাম পাট উন্নয়ন সহকারী মূখ্য পরিদর্শকের কার্যালয়ের সহকারী কর্মকর্তা মোছাঃ রওশন আরা বেগমের উদ্যোগে রাজারহাট সদর বাজারে গত ১৯ জানুয়ারী মঙ্গলবার বিকালে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নূরে তাসনিমের নেতৃত্বে চাল বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

এসময় ৩ জন ব্যবসায়ীর দোকানে প্লাষ্টিকের বস্তায় চাল রাখার অপরাধে প্রতিজনের ১ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় কিছু ব্যবসায়ী একত্রিত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় বাধা প্রদান করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। পরদিন ২০জানুয়ারী কুড়িগ্রাম পাট উন্নয়ন সহকারী কর্মকর্তা মোছাঃ রওশন আরা বেগম বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে চাল ব্যবসায়ী কমল চন্দ্র মহন্ত(৪০), পুতুল রায়(৪৫) ও আবুল কালাম(৫০)সহ অজ্ঞাত নামীয়র বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ৩, তারিখ ২০/০১/২০২১ইং।

এরই প্রেক্ষিতে ২১জানুয়ারী রাতে উপজেলা সদর বণিক সমিতির এক জরুরী সভায় ২২ জানুয়ারী শুক্রবার সকাল-সন্ধ্যা দোকান পাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। ২২ জানুয়ারী শুক্রবার ব্যবসায়ীরা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে রাজারহাট বাজারের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন প্রদর্শন করে সকাল-সন্ধ্যা দোকান পাট বন্ধ রেখে হরতাল পালন করেন। রাজারহাট চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ রহমত উল্লাহর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে ভারতীয় এলসিতে নিয়ে আসা প্লাষ্টিকের চালের বস্তা ছিল। এ কারণে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয়। এরপরও ওই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলাও দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা সদর বনিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন বলেন, কিছু উৎসুক মানুষ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তাই ২০জানুয়ারী সকাল ১১টায় রাজারহাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও অপরাধী ব্যবসায়ীসহ ২০জন ব্যবসায়ী ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে ভূল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে। এরপরও তিনি ওই দিন রাতেই মামলা দায়ের করেন।

শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নূরে তাসনিম বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় চালের দোকানে দেশীয় চালের প্লাষ্টিকের বস্তা রাখার অপরাধে ৩জনের জরিমানা আদায় করে সতর্ক করে দেয়া হয়। তাৎক্ষনিক অন্য ব্যবসায়ীরা আদালতকে পরিচালনায় বাধা প্রদান করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমি বিজ্ঞ আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছি।

(পিএস/এসপি/জানুয়ারি ২২, ২০২১)