স্বাস্থ্য ডেস্ক : বেঁচে থাকার জন্য আমাদের প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাবার। শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণ এবং ক্ষুধা নিবারনের জন্য পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কিছু বিশেষ পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজনের চাইতে বেশি খেলেও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। অপরিমিত পরিমাণে এসব খাবার খেলে নানান রকমের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়। জেনে নিন তেমনই কিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো পুষ্টিকর হলেও অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।

কমলা/টমেটো:
কমলা কিংবা টমেটো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী দুটি খাবার। প্রচুর ভিটামিন সি আছে বলে এই খাবার দুটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু গবেষক জিনা স্যাম এর মতে অতিরিক্ত টমেটো কিংবা কমলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তো নয়ই বরং ক্ষতিকর। এগুলোর অতিরিক্ত এসিডিক উপাদান শরীরে নানান রকমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই দিনে দুটি টমেটো ও দুটির বেশি কমলা খাওয়া একেবারেই উচিত না।

ক্যানড টুনা:
খুব সহজেই প্রস্তুত করা যায় বলে ক্যানে সংরক্ষণ করা টুনা মাছের কদর অনেক বেশি। সামুদ্রিক মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। তাই অনেকেই নিয়মিত ক্যানের টুনা মাছ খেয়ে থাকেন। টুনা মাছে আছে মার্কারি যা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শ্রবনশক্তির সমস্যা, মাংসপেশির দূর্বলা ও শরীরের অন্যান্য নানান রকমের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই সঙ্গে ক্যানের টুনাতে থাকে প্রিজারবেটিভ যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

পানি:
আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরী একটি উপাদান হলো পানি। পানি না খেলে শরীরে দেখা দেয় নানান রকমের সমস্যা। কিন্তু অতিরিক্ত পানি খেলেও শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। প্রয়োজনের চাইতে অনেক বেশি পানি খেলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা অনেক কমে যায় যা মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। এছাড়াও অতিমাত্রায় পানি গ্রহণে কিডনিতে চাপ সৃষ্টি হয় এবং কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পালং শাক:
সুস্থ থাকার জন্য প্রচুর সবুজ শাক সবজি খাওয়া উচিত। তেমনই একটি স্বাস্থ্যকর শাক হলো পালং। পালং শাকে আছে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার। তাই পালং শাক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু পালং শাকও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে নানান রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পালং শাকে আছে অক্সেলেট নামের একটি উপাদান যা কিডনি পাথর সৃষ্টি করতে পারে। তাই অতিরিক্ত পালং শাক না খাওয়াই ভালো।

কম ফ্যাটযুক্ত প্রাণীজ প্রোটিন:
প্রোটিন শরীরের জন্য একটি জরুরি উপাদান। বিশেষ করে চিকেন ব্রেস্ট, ডিমের সাদা অংশ ইত্যাদি কম ফ্যাটযুক্ত প্রাণীজ প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু এই ধরণের প্রাণীজ প্রোটিনও অতিরিক্ত খেলে শরীরে গ্রোথ ফ্যাক্টর ১ নামের একটি হরমোন উৎপন্ন হয় যা দ্রুত বয়স বাড়িয়ে দেয় ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ২৩, ২০১৪)