চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় মেঘনা নদীতে একটেল নামের একটি ডুবোচরে  ১৪ ঘণ্টা পর আটকে পড়া লঞ্চ থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে। খাবার না পেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এমভি সাত্তার খান-১ নামের যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ আটকা পড়ে। আজ শনিবার বেলা একটার দিকে আরেকটি লঞ্চে করে যাত্রীদের চাঁদপুর লঞ্চঘাটে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে লঞ্চটি ডুবোচরেই আটকে আছে।
লঞ্চের যাত্রী রেখা রানী, ইসমাইল হোসেন, আলতাফ মাস্টার অভিযোগ করেন, তাঁদের কেউ কোনো খাদ্য সহায়তা দেয়নি। তাই খাবার না পেয়ে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা বেশি অসুস্থ।
এ ব্যাপারে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুব্রত কুমার দে বলেন, ‘আমরা যাত্রীদের উদ্ধার করেছি। তবে খাদ্য সহায়তা দিতে পারিনি।’
চাঁদপুরের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, ‘যাত্রীদের বিকল্প একটি লঞ্চে উদ্ধার করে এনেছি। বিকেলের মধ্যে আঁচল নামের আরেকটি লঞ্চে করে তাদের পটুয়াখালী পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’ আটকে থাকা লঞ্চে প্রায় ৮০০ যাত্রী ছিল বলে তিনি জানান।
এর আগে হাইমচর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, লঞ্চটিতে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিল। তখন পর্যন্ত লঞ্চের যাত্রীদের উদ্ধার করার প্রক্রিয়া চলছিল।
ওসি জানান, শরীয়তপুর জেলার পুলিশের মাধ্যমে তাঁরা সকাল আটটায় মেঘনা নদীতে লঞ্চটি আটকে থাকার খবর পান। পরে সকাল নয়টার দিকে হাইমচরে লঞ্চটি খুঁজে পাওয়া যায়। বিভিন্ন ট্রলারের মাধ্যমে আটকে পড়া লঞ্চ থেকে যাত্রীদের নেওয়া হয়। রফরফ নামে বিকল্প একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে করে যাত্রীদের চাঁদপুর লঞ্চঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
(ওএস/এএস/আগস্ট ২৩, ২০১৪)