ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগে আবারো কোন্দল দেখা দিয়েছে। পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে মদদ ও দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় হরিনাকুণ্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়ার্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম শরীফ ও হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার বর্তমান মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টুকে শনিবার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জেলা আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করে। এ ঘটনায় আজ দুপুরে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শীতলি-পায়রাডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে তাদের বহিষ্কারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মশিউর রহমান জোয়ার্দার।  

এ সময় বহিষ্কৃত ৩ নেতা ছাড়াও হরিনাকুণ্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম,চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান মালিথা, সাধারণ সম্পাদক রশিদুল ইসলাম, থানা যুবলীগের আহবায়ক আশরাফুল হক, জোড়াদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির রায়হান, দৌতলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবদার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ভল্টুসহ স্থানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মশিউর জোয়ার্দ্দার দাবি করেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর প্রত্যক্ষ মদদে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন লাভ করি। সেই নির্বাচনে সাইদুল করিম মিন্টু বিদ্রোহী প্রার্থী তার অনুগত জাহাঙ্গীর হোসেনের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং আমাকে পরাজিত করান। বিষয়টি ওই সময় জেলা ও কেন্দ্রের নেতারা অবগত হয়।

এরপর থেকে আমাকে শায়েস্তা করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তিনি সুযোগ বুঝে আমিসহ হরিণাকুণ্ডু রাজনীতির সক্রিয় ৩ নেতাকে অন্যায় ও বেআইনীভাবে বহিষ্কার করান। যা দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোন সত্যতা নেই।

বিষয়টি নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ২৪, ২০২১)