আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহার, যাকে বিশ্বের ‘বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রধান কর্মসূচি’ হিসেবে উল্লেখ করছে ভারতীয় সরকার। এ কর্মসূচিতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের আবিষ্কৃত ‘কোভ্যাক্সিন’ ব্যবহার করছে দেশটি। তবে এসব ‘দেশি ভ্যাকসিন’ নেয়ায় খুব একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না ভারতীয়দের মধ্যে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না ফার্মাসিউটিক্যালসের করোনা ভ্যাকসিন আমদানির চেষ্টা করছে ভারতের টাটা গ্রুপ।

সোমবার ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, টাটা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের সঙ্গে যৌথভাবে দেশটিতে মডার্নার ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালাতে পারে।

তবে এ বিষয়ে জানতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স মডার্নার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী টাটা গ্রুপও।

ভারতের আইন অনুসারে দেশটিতে বিদেশি কোনো ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে হলে আগে স্থানীয়ভাবে ট্রায়াল দিতে হয়।

মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট ফাইজারের ভ্যাকসিন যেখানে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হয়, সেখানে মডার্নার ভ্যাকসিন সাধারণ ফ্রিজের তাপমাত্রাতেই (মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সংরক্ষণ সম্ভব। একারণে দরিদ্র দেশগুলোতে ফাইজারের চেয়ে মডার্নার ভ্যাকসিন ব্যবহার বেশি উপযোগী বলে মনে করা হচ্ছে।

গত নভেম্বরে প্রকাশিত মডার্নার শেষধাপের ট্রায়ালের তথ্য অনুসারে, তাদের ভ্যাকসিন ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ কার্যকর। এতে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি। গত ডিসেম্বরেই এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোতে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন, ভারতে যেটি কোভিশিল্ড নামে উৎপাদিত হচ্ছে- সেটি ট্রায়ালে ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছিল। তবে ভারতীয়দের নিজস্ব আবিষ্কৃত কোভ্যাক্সিনের বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য না দেয়ার অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই বিদেশে এসব ভ্যাকসিন রফতানি শুরু করেছে ভারত। রয়টার্স, সংবাদ প্রতিদিন।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৫, ২০২১)