স্টাফ রিপোর্টার : পাংশা পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজলুল হক ফরহাদের প্রচার মাইক ও প্রতীক ভাংচুরের অভিযোগে উপজেলা নির্বাচন কমিশনে ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রার্থী যুবলীগ নেতা ফজলুল হক ফরহাদ।

প্রার্থী ফরহাদ অভিযোগে জানান,সোমবার দুপুরে পাংশা পৌর সভার মাগুড়াডাঙ্গী রিশিপাড়ায় ও পারনারায়নপুর ব্রীজের ওপর তার প্রচার মাইক ও প্রতীক ভাংচুর করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা। এ সময় তারা প্রচারকাজের ভ্যান চালক নজু ও রুবেলকে মারধর করে এবং পুনরায় প্রচারে বের হলে আরো কঠিন শাস্তি দেবার হুমকি
দেয়।

এছাড়া ধানের শীর্ষের প্রার্থী রইচ উদ্দিন খান অভিযোগ করে বলেন,নৌকার প্রার্থীর লোকজন তার ইট ভাটার সিসি ক্যামেরা ভাংচুর ও ভাটার ম্যানেজারকে মারধর করেছে। এ দুই প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন,নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা ভয়ভীতি দেখায়ে তাদের এজন্ট ও ভোটারদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
কিন্তু আমরা তাতে ভীতু হয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাব না।

পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহাদত হোসেন বলেন,অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাইকে খুজে পায় নাই।

এ বিষয়ে পাংশায় নৌকার প্রার্থী ওয়াজেদ আলী মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন,নৌকার পক্ষ্যে গনজোয়ার দেখে বিজয় কোনভাবেই ঠেকাতে না পেরে তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ফজলুল হক ফরহাদের মাথা খারাব হয়ে গেছে।তাই সে পৌর এলাকার বাইরে থেকে সস্ত্রাসীদের এনে নিজের মাইক ও প্রতীক ভাংচুরের নাটক করে আমাদের ঘারে দোষ চাপাতে চাইছে। কিন্তু ভোটাররা আগামী ৩০জানুয়ারী ভোট দিয়ে নৌকার বিজয়ের মাধ্যমে তাদের সেই ষড়যন্ত্র ন্যাসাত করে দিবে।

আর নৌকার মার্কা প্রতীকের প্রধান সমন্বয়কারি পাংশা উপজেলার সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান আহমদ হোসেন পালটা অভিযোগ করে বলেন,বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জগ মার্কা প্রতীকের প্রার্থী ফজলুল হক গত রবিবার রাতে পাংশা পুরাতন বাজার এলাকায় অস্ত্র হাতে সস্ত্রাসীদের দিয়ে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকার হুমকি দিলে সাধরন জনগন তাদের ধাওয়া করে বিতারিত করে।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ২৫, ২০২১)