রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সার্বিক সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ও জেলা প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যে কোন সময় ভ্যাকসিন কুড়িগ্রামে এসে পৌঁছাবে বলে আসা জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের মতো কুড়িগ্রামেও একযোগে ভ্যাকসিন প্রয়োগের কথা রয়েছে । ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে যাদের এ ভ্যাকসিন দেয়া হবে তাদের তালিকা প্রস্তুত করছে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। 

কুড়িগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও সদর উপজেলাসহ মোট ১০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে এ ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সূচী অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এসব কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা তালিকা ধরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবেন।

ইতোমধ্যেই জেলা সিভিল সার্জন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য-পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালকসহ ৫ জন ঢাকা থেকে ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তবে মাঠ পর্যায়ের উপজেলা স্বাস্থকমপ্লেক্স ও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কাউকেই এখন পর্যন্ত টিকা প্রদানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। চলতি মাসের যেকোন দিন জেনারেল হাসপাতালসহ ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ জন করে মোট ৪ শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান জানান, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ সদর উপজেলা ও অন্যান্য ৯ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে করোনা ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য সকল রকমের প্রস্তুতি রয়েছে । আমরা প্রথম পর্যায়ে ৬০ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পাবো বলে আসা করছি । কুড়িগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগে ৪ থেকে ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করার মতো ক্ষমতা রয়েছে । আমাদের কয়েকজনকে ঢাকায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে । দ্রুততম সময়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে জেলার সব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স, সেকমো, প.প পরিদর্শক ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে অন্যদের প্রশিক্ষণ দিবেন এবং ভ্যাকসিন প্রয়োগে কাজ করবেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এর সাথে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন , জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। আমরা ৬ কার্টুন ভ্যাকসিন পাওয়ার একটি পত্র পেয়েছি। এতে কত হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে তা নিশ্চিত করে আমি বলতে পারছি না এটি সিভিল সার্জন বলতে পারবেন। জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছুলে পরিকল্পনা অনুযায়ী তা স্বাস্থ্যবিভাগ, জেলা পুলিশ বিভাগসহ সকলের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

(পিএস/এসপি/জানুয়ারি ২৬, ২০২১)