কক্সবাজার প্রতিনিধি : বিজিবি’র কক্সবাজার সদর দফতরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতি মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন বিজিবি’র ১১ সদস্য। এ ঘটনার সময় খুব নিকটেই ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিজিবি’র মহাপরিচালকসহ অনেক কর্মকর্তা।

রোববার দুপুরে বিজিবি’র কক্সবাজার সদর দফতরের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা ঝুঁকিমুক্ত হলেও বিকাল ৩ টার দিকে আহতদের ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সিএমএইচ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত বিজিবি’র সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, ফয়েজুল কবির, বেলায়েত হোসেন, মিলন কান্তি, জাহিদ, আশরাফুল ইসলাম, আদনান, আলিম, বিপ্লব, হালিম ও আনিসকে গুরুতর আহত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আরো কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বৈশাখী টিভির ক্যামেরাম্যান জসীম উদ্দিনও।
বিজিবি’র দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, রোববার দুপুর ১ টার দিকে বিজিবি’র কক্সবাজার সদর দফতরের মাঠে মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহম্মদ, চট্রগ্রাম দক্ষিন-পূর্ব বিজিবির কমন্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ আহমদ আলী, চট্রগ্রাম জোন কমান্ডার মেজর জিয়া, কক্সবাজারস্থ সেক্টর কমন্ডার কর্ণেল খন্দকার ফরিদ হাসান অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বিপুল ইয়াবা সহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য নষ্ট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই সময় আগুনে ইয়াবা পুড়ানো শুরু করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিজিবির মহাপরিচালক। তার এক পর্যায়ে এক সৈনিক আগুনের উপর মজুদ করা বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও হেরোইন এক সাথে দিয়ে দেয়। একই সঙ্গে একটি ছোট্ট ড্রাম ভর্তি কেরোসিন আগুনের উপরে দিলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এসময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিজিবি’র মহাপরিচালকসহ অন্যান্যরা কর্মকর্তারা পেছনে সরে গেলেও আহত হন বিজিবি’র ১১ সদস্য। আহতদের দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আনা হয়।
দুপুর আড়াই টার দিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এ ঘটনায় আহতদের দেখতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যান।
এদিকে বিকাল ৩ টার দিকে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সিএমএইচ হাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. পচুনু।
তিনি জানান, আহত ১১ জন ঝুঁকিমুক্ত। তবে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন থাকায় তাদের চট্টগ্রাম সিএমএইচ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এরপর বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে এম্বুলেন্স যোগে ৬ জনকে চট্টগ্রাম সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এ ৬ জন হল, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফয়েজুল কবির, বেলায়েত হোসেন, জাহিদ, আদনান ও আনিস। অপর ৫ জন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রয়েছে।
বিজিবি’র কক্সবাজার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল খন্দকার ফরিদ হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
(টিটি/এএস/এপ্রিল ২০, ২০১৪)